চট্টগ্রামের আনোয়ারার রাঙ্গাদিয়ায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল হাকিম গত ১ জানুয়ারি ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। নিয়মানুযায়ী কারখানায় কর্মরত কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে আবাসনের ব্যবস্থা। নির্ধারিত বাসভবনে তিনি বসবাস করলে তাকে ভাড়া দিতে হবে ২৯ হাজার ৭৬০ টাকা। সরকারি নিয়মে ৪০ শতাংশ বাড়ি ভাড়াও পান তিনি। কিন্তু এমডি মো. আবদুল হাকিম তার নির্ধারিত বাস ভবনে না উঠে মাসিক ১৪৮০ টাকা ভাড়ায় সপরিবারে থাকেন কারখানার গেস্ট হাউসে। ভাড়া না দিতে গেস্ট হাউসে থাকেন তিনি। কারখানার নথিপত্রে দেখিয়েছেন তিনি ব্যাচেলর। গেস্ট হাউসের ভাড়া পরিশোধের একটি মেমো ইতোমধ্যে কালবেলার হাতে এসে পৌঁছেছে। বিসিআইসির কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানিয়েছেন, নিয়মানুযায়ী তার নির্ধারিত বাসভবনেই তাকে থাকতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের একমাত্র ডিএপি সারের এ কারখানা ২০০১ সালের ১ মে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন এ কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ টন। ২০০৬ সালে থেকেই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে এ কারখানা। কারখানায় কর্মরত কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে আবাসনের ব্যবস্থা। পাশাপাশি রয়েছে অতিথিদের জন্য নামমাত্র ভাড়ায় গেস্ট হাউস।
এসব আবাসনে যারা বসবাস করেন বেতনের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া প্রদানের সময় এই ভাড়া কর্তন করা হয়। কিন্তু মো. আবদুল হাকিম গত ১ জানুয়ারি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কারখানায় যোগদানের পর থেকে সপরিবারে উঠেছেন গেস্ট হাউসে। নতিপত্রে ব্যাচেলর দেখিয়ে গেস্ট হাউসের একটি কক্ষে নামমাত্র ১৪৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে তিনি থাকেন।
কারখানার নথিতে দেখা যায়, তার নির্ধারিত বাসভবনে তিনি বসবাস করলে তাকে ভাড়া দিতে হবে ২৯ হাজার ৭৬০ টাকা। অপরদিকে গেস্ট হাউসের একটি কক্ষের জন্য তাকে ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৪৮০ টাকা।
বিসিআইসির চিফ অব পার্সোনাল মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, বিসিআইসির নিয়মানুযায়ী কারখানার এমডিকে তার নির্ধারিত বাসভবনেই থাকতে হবে। এর বাইরে থাকার কোনো নিয়ম নেই। যদি কোনো কর্মকর্তা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে থাকে তাহলে অবসরকালীন সময়ে হলেও তার এই ভাড়ার টাকা আদায় করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে ডিএপিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল হাকিম মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেনি।
মন্তব্য করুন