হঠাৎ করেই ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নে চোরের উৎপাত বেড়েছে। গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাত কিংবা দিনে দুপুরে হচ্ছে চুরি। এ বিষয়ে গ্রামবাসী ও এলাকার ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এতে আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতির অভিযোগ তুলছেন গ্রামবাসী ও ব্যবসায়ীরা।
প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে আবাইপুর ইউনিয়নে বাজারে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী ও আবাইপুর বাজার বণিক সমিতি ব্যবসায়ীরা। এসময় ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসীরা এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রাখেন, ফলে সাধারণ ক্রেতারা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী লাভলু মিয়া জানান, বিগত পাঁচ বছর ধরে আবাইপুর বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত চুরি হয়ে আসছে, কিন্তু বর্তমানে চোরের উৎপাত আরও বেড়ে গেছে, যার ফলে ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে উঠেছে, আমরা অনেক চেষ্টা করেও এর সমাধান আনতে পারিনি, তিনি আরও বলেন এই চোরদেরও পিছনে একটি শক্তিশালী মহল রয়েছে, তাদের ইন্ধনেই এই চুরি গুলো সংঘটিত হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেন, এবং আমরা চোরের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।
আবাইপুর গ্রামের বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় চোরের উৎপাত হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে, গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে, গরু-ছাগল, ভ্যান, ইজিবাইক, মটোর সাইকেল চুরি হয়ে যাচ্ছে। একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়াই এই সংঘবদ্ধ চোর সিন্ডিকেট চলে। আমরা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে গেলেও, প্রশাসন এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নি। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, প্রশাসন জানে কে কে চোর, কিন্তু তাদের আসলে কিছু করার নেই, কারণ তারা একটি রাজনৈতিক মহলে চলে, একটি ছত্রছায়াই চলে। গ্রামের কারোরই গরু-ছাগল পালনের কায়দা নেই, প্রতিনিয়ত তারা বাড়ি থেকে এগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আবাইপুর বাজারে বাইরের কোনো ব্যবসায়ীরা চুরির ভয়ে ব্যবসা করতে আসে না। আজকের মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, এই এলাকার মানুষ যেন সুন্দর ভাবে বসবাস করতে পারে, এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে।
আবাইপুর বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান বিশ্বাস বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ৮.৩০ এর সময় বাজারের একটি দোকান থেকে চুরি করে যাবার সময়, হাসান, মুক্তার, ফজর আলী একটি ইজিবাইকের গোডাউন থেকে ব্যাটারি, তার সহ অন্যান্য জিনিস একটি ভ্যানে করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো। সে সময় বাজারের লোকজন হাসানকে ধরলেও ফজর আলী ও মুক্তার পালিয়ে যায়। সে সময় পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করি। কিন্তু এখনো বাকি দুজনকে পুলিশ ধরতে পারেনি, আমরা পুলিশকে তাদেরকে ধরার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি তাদেরকে ধরার জন্য।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামের কাছে জানতে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন