মানিকগঞ্জের পদ্মা যুমনা অববাহিকায় পদ্মা অধ্যুষিত ভাঙনকবলিত অন্যতম উপজেলা হরিরামপুর। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র আন্ধারমানিক খেয়াঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে স্থানীয় জনমনে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক।
রোববার (১৮ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে আন্ধারমানিক ট্রলার ঘাটে প্রায় ৩০০ ফিট দৈর্ঘ্য এবং প্রায় ২০ ফিট প্রস্থ এলাকা ঢেউয়ের আঘাতে নদীগর্ভে চলে গেছে।
২০১৬ সালে তীর রক্ষার জন্য যে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে—দুই থেকে তিনদিন এভাবে ভাঙতে থাকলে জিও ব্যাগেও ধস নামতে পারে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
আন্ধারমানিক ঘাটের ট্রলারচালক শেখ রুবেল জানান, যে হারে পানি বাড়ছে তাতে খুব শিগগিরই জিও ব্যাগ পর্যন্ত চলে আসবে। এখন জরুরিভাবে নতুন করে জিও ব্যাগ না ফেললে আরও ক্ষতি হবে। নদীর মাঝ দিয়ে খনন করে পানির গতিপথ পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
ট্রলার ঘাটের মুদি দোকানদার শেখ ইউসুফ জানান, দুই বছর আগে এখানে অনেক বড় চর পরায় ভাঙন দেখা যায়নি। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে আরও ক্ষতি হবে। আগের জিও ব্যাগেও ধস নামতে পারে। দুই বছর আগে চর পড়লেও বর্তমানে দুই বছর ধরে এখানে চর না পরায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
নদীভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের সেলিমপুর গ্রামের কয়েকশ পরিবার। পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ভাঙন দেখা দিয়েছে গোপীনাথপুর উজানপাড়া এলাকায়ও। গত কয়েক দিনে গোপীনাথপুর উজানপাড়া এলাকায় পূর্বের জিও ব্যাগসহ ধসে যাচ্ছে নদীর তীর।
গোপীনাথপুর উজানপাড়া গ্রামের রাজা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে পানি বাড়ায় আগের ফেলানো জিও ব্যাগসহ ফসলি জমি ধসে যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আরও ভেঙে যাবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে যে সকল স্থানে জোয়ারের পানির ঢেউয়ে ধস শুরু হয়েছে, সে সব স্থানে জরুরি ভিত্তিতে আমরা আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এটা আমাদের প্ল্যানে আছে।
মন্তব্য করুন