কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় বেহাল হয়ে আছে দুলালপুর-বালিনা সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কের দুই পাশে ভেঙে এবং সড়কের মাঝখানে ছোট বড় গর্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে দুলালপুর হয়ে বালিনা, পোমকাড়া ও বেড়াখোলা যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। দুলালপুর-বালিনা সড়কের বেশির ভাগ অংশেই ছোট বড় গর্ত হয়ে আছে। সড়কের বিভিন্ন অংশে দু’পাশ ভেঙে খালে ও পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে যানবাহন ও পথচারীদের জন্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। প্রতিদিন শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে মালবাহী পিক্যাপভ্যান, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।
দেখা গেছে, এ সড়কে কোথাও কোথাও চালকরা এবং যাত্রীরা সিএনজি ও অটোরিকশা থেকে নেমে সড়কের পাশ থেকে মাটি ও ইট টেনে এনে গর্তে ফেলে তারা তাদের যানবাহন পারাপার করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু ইউসুফ বলেন, আমি প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি। বর্তমানে এ সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যা আমাদের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্ভোগের। এ সড়কটি দিয়ে না পারছি হেঁটে চলাচল করতে, না পারছি যানবাহনে চলাচল করতে। সড়কটি সংস্কার খুব জরুরি।
সিএনজিচালক আমির হোসেন বলেন, দুলালপুর-বালিনা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হচ্ছে না। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। এ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দিতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানাই।
দুলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান রিপন ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার বড়ধুশিয়া থেকে গোলাবাড়িয়া ও বালিনা খালপাড় হয়ে দুলালপুর-বালিনা এ সড়কটি সংস্কারকাজের জন্য প্রয়াত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে ওই বরাদ্দটি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে গত তিন বছর ধরে দুলালপুর-বালিনা এই সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে বিভিন্ন মহলে একাধিকবার উপস্থাপন করা হলেও ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এর কোনো প্রতিকার হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ প্রাথমিকভাবে সংস্কার করতে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং বর্ষা শেষ হলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্তব্য করুন