হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ২০০৪ সালের প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয় আজমিরীগঞ্জ পৌরসভা। প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও আজও পৌরসভার নিজস্ব কোনো ভবন তৈরি করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠার পর উপজেলা পরিষদের ভেতরে বিআরডিবির পরিত্যক্ত একটি গুদামঘর ভাড়া নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয় পৌরসভার। সেই থেকে জরাজীর্ণ ভবনটিতে চলছে দাপ্তরিক কাজ।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, আপাতত কোনো ভবন তৈরি করা হচ্ছে না। পৌরসভায় পানি সরবরাহের জন্য পানির পাম্পের একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। সেটিতেই চলবে দপ্তরের কার্যক্রম।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এলাকায় ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয় আজমিরীগঞ্জ পৌরসভা। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে উপজেলা পরিষদের ভেতরে বিআরডিবির পরিত্যক্ত একটি গুদাম মাসিক ছয় হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে সেটিকে সংস্কার করে পাঁচটি কক্ষ তৈরি করে পৌর কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে জরাজীর্ণ ভবনটিতে চলছে পৌরসভার দাপ্তরিক কার্যক্রম। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে ছাদ দিয়ে পানি পৌর কার্যালয়ে প্রবেশ করলে বেশ কয়েক দফা ভবনটি মেরামত করে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ ৪ সেপ্টেম্বর পৌর প্রশাসকের কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। সরজমিনে পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে কক্ষগুলোতে চলছে পৌরসভার দাপ্তরিক কার্যক্রম। প্রায় সব কক্ষের দেয়ালজুড়ে রঙের প্রলেপ ছাপিয়ে শ্যাওলা ভেসে উঠেছে। এসব স্যাঁতসেঁতে দেয়ালের পাশেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন নথিপত্র। এরই মাঝে ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কাজ করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পৌরসভায় সেবা নিতে আসা একাধিক সেবাগ্রহীতারা জানান, বিভিন্ন সময় সেবা নিতে কার্যালয়টিতে গেলে ভয়ে থাকি। কখন ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে আহত হতে হয়। এ ছাড়া স্যাঁতসেঁতে এই পরিবেশে বিভিন্ন নথিপত্র রয়েছে। সরকারি এসব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ড্যামেজসহ যে কোনো সময় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক বলেন, ভবন নির্মাণের কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। আপাতত ভবন নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। পৌরসভায় পানি সরবরাহের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ শেষ হলে সেই ভবনটিতে আপাতত অফিস স্থানান্তার করা হবে।
মন্তব্য করুন