মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তিকে দুর্বল করা, দল ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী চক্রের পৃষ্ঠপোষকতা করা, আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভীতি প্রদর্শন, দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ এনে, দল বিরোধী সংসদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের প্রধান কুশীলব আখ্যায়িত করে ফরহাদ হোসেনকে মেহেরপুর-১ আসনের আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদান না করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি হল মিলনাতনে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভাতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সদস্য এম এ এস ইমন আহমেদ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাদু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম সাজু প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, নৌকার মাঝি পছন্দ না হলে আমি নৌকায় ভোট দেব না। আর যদি পছন্দ হয় তবে সর্বস্ব দিয়ে নৌকার বিজয় ঘরে তুলব। ফরহাদ হোসেন যদি নৌকার প্রার্থী হয় তাহলে নৌকায় ভোট দেব না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে এ কথা বলে এসেছি।
জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল বলেন, সারা জীবন আওয়ামী লীগের জন্য জেল জুলুম ও বোমা হামলার শিকার হয়েছি। এরপরও আমি নাকি আওয়ামী লীগের কেউ না। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল নিজের পছন্দমতো নিজ পরিবারের লোকদের নিয়ে দল চালান। সেখানে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতারা ঠাঁই পান না। প্রধানমন্ত্রীর কছে আকুল আবেদন, এমন নেতাকে যেন মনোনয়ন না দেওয়া হয়। তাকে বাদ দিয়ে যে কাউকে মনোনয়ন দিলে তার পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক হয়ে কাজ করবে।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক এম এ এস ইমন বলেন, যারা মেহেরপুরে আওয়ামী লীগকে দুর্দিনে ধরে রেখেছে তারা আপনার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছে। আপনার নিজ থেকে সরে যাওয়া উচিৎ। মুজিবনগরকে শেখ হাসিনা উন্নয়নের জন্য ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আপনি নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সারাদেশে যে উন্নয়ন তারই রুটিন উন্নয়ন হয়েছে মেহেরপুরে।
মন্তব্য করুন