ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের দোলেশ্বর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ামত উল্লাহ চৌধুরীর বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী বাহিনী বুলডোজার দিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে বাড়ি দখলের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সায়মন চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মুক্তিযোদ্ধা নিয়ামত উল্লাহ জানান, আমাদের দোলেশ্বর মৌজার জমি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রতিবেশী টুটু নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকবার বসি কিন্তু এতে কোনো ফায়সালা হয়নি। প্রতিবেশী টুটু শীর্ষ সন্ত্রাসী লেংরা হাবিবের ভাই আরিফসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের বাড়ি অপদখল করার অপচেষ্টা করবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরে গতকাল বুধবার কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ আমাদের ডায়েরি এন্ট্রি না করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজামানের সঙ্গে কথা বলতে বলে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাদের জানান দোলেশ্বরের বিষয়ে জিডি নেওয়া যাবে না।
সকালে আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বাড়ি দখলের উদ্দেশে শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবের ভাই আরিফ, মোকলেস, ওহিদসহ ভাগিনা টুটু, সাবেক ইউপি মেম্বার মামুন বুলডোজার দিয়ে সীমানা প্রাচীর ভেঙে বাড়ি দখল করার অপচেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে বাধা দিলে উপস্থিত কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার এস আই জুলফিকার আমাকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে বসিয়ে রাখে এবং তার উপস্থিতিতেই সীমানা প্রাচীর ভাঙা হয়। আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ামত উল্লাহ বাধা দিতে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও লাঞ্ছিত করে। স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয় এবং জনতা বিক্ষুব্ধ হলে সন্ত্রাসীরা তাদের বুলডোজার রেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এই বিষয়ে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী (ফারুক)-কে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজামান হামলার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, দোলেশ্বরে একটি বাড়ির দেয়ালের অংশ ভাঙার খবর পেয়েছি। বাড়িটি কার সে বিষয়ে জানা নেই। এখনো এই বিষয়ে মামলা করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন