রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নৌকার মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বুধবার (২১ জুন) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহী শহরের স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র প্রার্থী লিটন আরও বলেন, ৬০ শতাংশ ভোটের আশপাশে কাস্ট হবে। কিছু কেন্দ্রে ইভিএমের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাকের পার্টির এ কে এম আনোয়ার হোসেন ও জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ভোটার আছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে নতুন ৩০ হাজার ১৫৭ জন ভোটার এবার প্রথমবারের মতো এ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম ভোট বর্জন করেছেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং শেষে কমিশনার আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট হবে। এর মধ্যে ১৪৮টি গুরুত্বপূর্ণ। কোনো বিশৃঙ্খলা বরদাশত করবে করা হবে না। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন ২৫০ জন র্যাব ও বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৩ হাজার ৫১৪ জন পুলিশ, ১ হাজার ৯৩৫ আনসার সদস্য। থাকবেন ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ইসির ১০ পর্যবেক্ষক।
এর আগে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানায়, রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ৪ হাজার ১৪০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজশাহীতে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৮৬০ জন এবং সিলেটে মোট ১৯০টি ভোটকেন্দ্রে ২ হাজার ২৮০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন