ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, পটুয়াখালী
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

অভিযুক্ত জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন শিকদার। ছবি : সংগৃহীত
অভিযুক্ত জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন শিকদার। ছবি : সংগৃহীত

পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা জামায়াতের রুকন অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন শিকদারকে দলীয় দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

একই সঙ্গে বিষয়টি যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারী ক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে পেশাগত অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর জরুরি সভায় বসে জেলা ও পৌর জামায়াত নেতারা। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারী বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। যদিও সরাসরি নিশ্চিত তথ্য পাইনি, তবুও যেহেতু জেলা আইনজীবী সমিতি তার সদস্যপদ স্থগিত করেছে, তাই আমরাও একই পদক্ষেপ নিয়েছি। কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে কলাপাড়ায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামির জামিনের জন্য বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকা সংবলিত একটি খাম ও মামলার নথিপত্র পাঠান পিপি রুহুল আমিন। এ ঘটনায় বিচারক নীলুফার শিরিন নিজেকে অপমানিত বোধ করে বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বিচারক অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, এর আগেও একই মামলার এক আসামির জামিনের জন্য রুহুল আমিন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এবার সরাসরি বাসায় ঘুষ পাঠানোয় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে বাধ্য হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, পিপি রুহুল আমিন আগেও বিভিন্ন মামলায় আসামি পক্ষের হয়ে তদবির করেছেন এবং আদালতের আদেশ প্রত্যাশামতো না হলে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করেছেন। আলোচিত ‘জুলাই শহীদ জসিম কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলা’তেও তিনি আসামি পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জেলা আইনজীবী সমিতি জরুরি সভা আহ্বান করে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তার প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সমিতির লিখিত সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসক, দুদক, আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৯ রোগী

জুলাই শহীদ কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা

মাদ্রাসাছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের সাক্ষাতের সময় পরিবর্তন

ল্যাপটপে ম্যালওয়্যার ঢুকেছে কি না চিনুন ৭ লক্ষণে

বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবে এনসিপি

অবশেষে মেয়েকে প্রকাশ্যে আনলেন রণবীর-দীপিকা

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

বিশ্বরেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ

১০

ডেঙ্গুর ছোবলে উপকূল, কিট সংকটে ঝুঁকিতে রোগীরা

১১

পাকিস্তানে ভূমিকম্প, রাতভর আতঙ্ক

১২

নির্বাচনে কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার নির্দেশ সিইসির

১৩

কুমিল্লায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার

১৪

বাংলাদেশের কেউই যা করতে পারেননি, রিশাদ সেটি করলেন

১৫

স্কিন কেয়ারের বেসিক গাইড

১৬

সালিশেই ‘তালাক’ ও আরেক পুরুষের সঙ্গে বিয়ে

১৭

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সেনা কর্মকর্তারা আত্মসমর্পণ করেছেন : আইনজীবী

১৮

ফুটবল মাঠে বিমান বিধ্বস্ত

১৯

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

২০
X