কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩, ১০:২৬ এএম
আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, ১১:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ
সিলেট সিটি নির্বাচন

পুরো প্রশাসন নৌকার পকেটে, অভিযোগ জাপা প্রার্থীর

জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। ছবি : কালবেলা
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। ছবি : কালবেলা

সিলেটে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তিনি বলেন, পুরো প্রশাসন নৌকার পকেটে।

বুধবার (২১ জুন) সকাল ১০টার দিকে নগরীর আনন্দ নিকেতন স্কুলে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়ে এ কথা বলেন জাপার এই মেয়র প্রার্থী।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বাকি তিনটির মতো এই সিটি নির্বাচনেও ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি এবারও সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি। ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।

এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম (বাবুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান (বর্জন করেছেন), জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, শাহ জাহান মিয়া, ছালাহ উদ্দিন ও আবদুল হানিফ।

এ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নগরীতে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মাঠে আছে বলে জানিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন কমিশনার ইলিয়াছ শরিফ বলেন, ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। আছেন প্রয়োজনীয়সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যও।

তিনি জানান, প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশের ৪২টি মোবাইল টিম, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ১৪টি স্ট্রাইকিং টিম এবং ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম রয়েছে। পাশাপাশি ভোটের মাঠে টহল দিচ্ছে র্যাবের মোট ২২টি টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন আজ

ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা 

২৬ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

ডাকসু নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু আজ

তিন সহযোগীসহ ‘মাদক সম্রাট’ শাওন গ্রেপ্তার

ফের সৈকতে ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২৬ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

ক্ষমতায় গেলে এক কোটি কর্মসংস্থান করবে বিএনপি : টুকু

১০

ড. ইউনুস কি ভালো ভোট করতে পারবেন : মান্না

১১

ষড়যন্ত্রকারীদের সতর্কবার্তা দিলেন আমিনুল হক

১২

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু, চাচাতো চাচা রফিকুল রিমান্ডে 

১৩

জবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং সিস্টেম চালু ১ সেপ্টেম্বর

১৪

স্থপতি মোশতাক আহমেদের বাবার মৃত্যুতে রাজউক চেয়ারম্যানের শোক

১৫

আফ্রিদির বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি, উকিল খুঁজছেন স্বপন

১৬

মুন্সিগঞ্জে ‘গত আগস্টে লুট করা অস্ত্র’ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা

১৭

গরিবের স্বপ্নেই থাকে ইলিশ

১৮

কেউ ছাই দেওয়া হাত থেকে বের হতে পারবে না : উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন

১৯

বাংলাদেশে তিন বছরে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশে

২০
X