রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের উপচেপড়া ভিড়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে বিলম্ব হলেও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। এরই মধ্যে হঠাৎ ভোট উৎসবে বাগড়া দিয়েছে ‘বেরসিক’ বৃষ্টি।
বুধবার (২১ জুন) বেলা ১১টা থেকে ভোটের নগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়। টানা ৪৫ মিনিটের মতো স্থায়ী হয় এই বৃষ্টিপাত। ফলে ভোটাররা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। কিছুটা স্থবির হয় ভোট গ্রহণ।
এদিকে দুপুর পৌনে ১টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ছেড়ে গেলেও রাজশাহীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টি না থামলে ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভোটগ্রহণ শুরুর পর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন নিজ নিজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়েছে। বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মুসলিম হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার কথা ছিল জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী লতিফ আনোয়ারের। তবে বৃষ্টির কারণে তিনি কেন্দ্রে আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। পরে বৃষ্টি কমলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা রয়েছে।
শহরে ঝুম বৃষ্টি হলেও খবর নেই শহরের বাইরে অবস্থিত রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে। এখানকার পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম জানান, তাদের এলাকায় এখনো বৃষ্টি শুরু হয়নি। তবে আকাশ মেঘলা রয়েছে। যে কোনো সময় ওই এলাকাতেও বৃষ্টি হতে পারে।
উল্লেখ্য, সিটির ৩০টি ওয়ার্ডের ১৫৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩০টি ইভিএমের মাধ্যমে ১ হাজার ১৫৩টি কক্ষে একযোগে সকাল ৮টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে এই ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ৩ হাজার ৬১৪ কর্মকর্তা। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। কেন্দ্রসহ সিটির গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ১ হাজার ৫৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় করা হয়েছে। নির্বাচনে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন নতুন ৩০ হাজার ১৫৭ জন ভোটার।
মন্তব্য করুন