মুন্সীগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই এর ৩ কর্মকর্তার চাহিদা মেটাতে বিক্রি করতে হয়েছে সংসারের আয়ের একমাত্র উৎস অটোরিকশার ব্যাটারি। আদালতে চালান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লিটন নামের ওই অটোরিকশা চালকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। ৩ পুলিশ সদস্যকে দিতে হয়েছে ৩৪ হাজার টাকা।
এসব অভিযোগ উঠেছে- মুন্সীগঞ্জ পিবিআই সাব-ইন্সপেক্টর অপু সরকার ও মেহেদী হাসান এবং কনস্টেবল কামরুলের বিরুদ্ধে। এর আগে ৯ অক্টোবর টাকা না দেওয়ার কারণে পিবিআই অফিসের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে প্রায় ১৭ ঘণ্টা আটকিয়ে রাখা হয় লিটন হাওলাদার ও ছোট ভাই নীরব হাওলাদার ও তার বন্ধু নূর ইসলামকে।
মূলত ঘটনার সূত্রপাত অটোরিকশা চালক লিটনের ছোট ভাই নীরবকে কেন্দ্র করে। গত পহেলা অক্টোবর নীরব অন্য একজনের অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি করে বিক্রি করে দেয়। অটোরিকশার মালিক মো. দুলাল হোসেন ভূইয়া ৪ অক্টোবর অভিযোগ করেন পিবিআইয়ে। পিবিআই ব্যাটারি উদ্ধার করতে ৯ অক্টোবর রাতে ধরে নিয়ে আসেন বড় ভাই লিটন, নীরব ও বন্ধু নূর ইসলামকে। এরপর দাবি করা হয় টাকা। উপায় না পেয়ে লিটনের স্ত্রী নিজেদের অটোরিকশার ব্যাটারি বিক্রি করে দেন ২৪ হাজার এবং নূর ইসলাম দেন ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ব্যাটারি যে দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই দোকান মালিকের ছেলে মেহেদীর কাছ থেকে দুই ধাপে নেওয়া হয়েছে আরও ১২ হাজার টাকা।
এদিকে টাকার নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান। দোষ চাপান তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর অপু সরকারের ওপর। পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাদী ও বিবাদী আপোষের কারণে অফিস এখানে জড়ায়নি। তবে টাকা নেওয়া বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে কিছু অসাধু কর্মকর্তার জন্য পুরো বাহিনীর সুনাম যেন নষ্ট না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার আহ্বান সচেতন নাগরিকদের।
মন্তব্য করুন