জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৫০ গ্রামের মানুষের স্বপ্নের খরকা ঝিল সেতু। সেতুটিকে ঘিরে এখন আশার আলো দেখছেন প্রায় ১ লাখ মানুষ। মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হেডকোয়ার্টার থেকে মির্জা আজম খরকা ঝিলের ওপর নির্মিত সেতুটি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অবশেষে সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।
২০২০ সালের শুরুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মির্জা আজম সেতুটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভায়াডাক্টসহ ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটির নির্মাণ ব্যয় বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৩ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ঠিকাদারি কাজ পায় চৌধুরি এন্টারপ্রাইজ। আগামী নভেম্বর এ কাজের মেয়াদ শেষ হবে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধনের আগেই দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষের আগমন ঘটছে। বিকেলে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনায় মুখরিত হয় এই সেতু এলাকা।
জান্নাত মিতু নামে এক তরুণী জানান, তার বাড়ি সেতু এলাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। ফেসবুকের মাধ্যমে দেখে তিনি সেতুটি দেখতে এসেছেন।
বালিজুড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সর্দার আব্দুল হাই বলেন, যখন এই সেতুটি ছিল না তখন আমাদের তারতাপাড়া থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বর ও জরুরি সেবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে হতো নৌকা পারাপারে। এতে আমরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে থাকতাম। এখন সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় আমরা সহজেই ও খুব দ্রত সময়ের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌঁছে যাচ্ছি। সেতুটি নির্মাণ করায় আমাদের সংসদ সদস্য আলহাজ মির্জা আজম এমপিকে আমার গ্রাম তারতাপাড়াবাসীর পক্ষে ধন্যবাদ জানাই।
মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, মির্জা আজম খরকা ঝিলের ওপর নির্মিত সেতুটির কাজ ৯৮ শতাংশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে নভেম্বের মাসেই আমরা সেতুটির উদ্বোধন করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, সেতুটির পাশে সংযোগ সব খানাখন্দ রাস্তাগুলোও সংস্কার করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সেই প্রস্তাবের অনুমোদন পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন