বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক কোনো সংকট নেই। আওয়ামী লীগেও কোনো সংকট নেই। রাজনৈতিক সংকটে আছে বিএনপি। রোববার (২২ অক্টোবর) কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে নাগরিক পরিষদের আয়োজনে জেলার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ওলামায়ে কেরামদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, দেশে ও আওয়ামী লীগে রাজনৈতিক কোনো সংকট নেই। বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক সংকটে আছে। কারণ যে দলের শীর্ষ দুই নেতা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হত্যা ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়- সেই দল রাজনৈতিক সংকটে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ওপরে বিএনপির কোনো ভরসা নেই। তাদের ভরসা বিদেশি প্রভুদের ওপরে। এসব নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কোনো শঙ্কা বা সংকট নেই। আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে সেটির জন্য বাংলাদেশের মানুষ মানসিকভাবে প্রস্ততি নিচ্ছে। বাংলাদেশের জাতিকে বিভক্ত করেছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
হানিফ বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্ণ পদদলিত করে, স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারাকে প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই তো জাতিকে বিভক্ত করেছে। তখন থেকেই জাতি দুভাগে বিভক্ত। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আরেক দিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি বিএনপির নেতৃত্ব।
তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে খালেদা জিয়া সরকার পতনের আন্দোলন করে আসছেন। এখন আর বাংলাদেশে কোনো মানুষ বিএনপির তথাকথিত এই আন্দোলন নিয়ে ভাবে না আর এটা নিয়ে আওয়ামী লীগেরও ভাবনার কিছু নেই।
হানিফ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এই নির্বাচন। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে সেটা যাচাই ও পরীক্ষা করতে পারে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো দল সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চায় তাহলে অবশ্যই কথা বলতে পারে। আলাপের দরজা খোলা আছে। তবে সেটাকে অবশ্যই সংবিধান সম্মত হতে হবে এবং শর্তবিহীন হতে হবে। সংবিধানের বাইরে কোনো কথা বলার বা শোনার সুযোগ নেই।
আলোচনা সভায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ নাগরিক পরিষদ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন