ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র সাত দিন। এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির হাট। বিপুল পরিমাণ গরু-ছাগল নিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে বেচাবিক্রির উদ্দেশ্যে পশু হাটে নিয়ে আসলেও ক্রেতার উপস্থিতি নিতান্তই কম। ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ব্যবসায়ী ও খামারিদের কপালে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শিয়ালমারী পশুর হাট ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঈদ নিকটে হলেও গরুর হাট জমে না ওঠার বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ক্রেতার সংখ্যা কম। তবে মানুষ ঈদের এক সপ্তাহ আগে গরু কেনেন না। মূলত রাখার ঝামেলা এড়াতে তারা ঈদের দু-একদিন আগে গরু-ছাগল কেনেন।
উপজেলার নতুনপাড়া থেকে গরুর বাজারের অবস্থা দেখতে আসা সুমন মিয়া বলেন, শিয়ালমারী বাজারে কেমন গরু উঠেছে, দাম কেমন, খোঁজখবর নিতে এসেছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কোরবানি উপলক্ষে জীবননগরে ৪০ হাজারের মতো গরু ও ছাগল প্রস্তুত রয়েছে, কিন্তু এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজার। কোরবানি উপলক্ষে চাহিদার তুলনায় ৭ থেকে ৮ হাজার পশু বেশি রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান বলেন, এবার বাইরের গরু-ছাগল বাজারে না এলে কৃষক ও খামারিরা তাদের পশুর ন্যায্যমূল্য পাবেন। যদিও ফিডের দাম দিন দিন বাড়তে থাকায় খামারিরা কিছুটা সংশয়ে আছেন। তবে বাইরের গরু ঢুকলে খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
মন্তব্য করুন