উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদের মধ্যে জেগে ওঠা মাঝের চরের বাসিন্দারা স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে গবাদিপশু ও হাঁস–মুরগি নিয়ে উঠেছেন। তবে লোকালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপস্থিতি কম। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে মানুষদের নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ও নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকেরা মাইকিং করছেন। সন্ধ্যার পর থেকে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বলেশ্বর নদের মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝের চরের কয়েকশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চরের বাসিন্দারা গবাদিপশু ও হাঁস–মুরগি নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তবে উপজেলা সদরের বেশিরভাগ আশ্রয়কেন্দ্রে মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি খুবই কম ছিল।
মঠবাড়িয়ার রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সদস্য আব্দুল্লাহ আল অভি বলেন, ‘মাঝের চরের ২০০-৩০০ বাসিন্দা চরের আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে রয়েছেন। হামুন প্রভাবে সন্ধ্যার পর থেকে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে উপজেলা সদর এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। ঝোড়ো বাতাস ও বৈরী আবহাওয়া শুরু না হওয়ায় মানুষের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রবণতা এখনো কম।’
মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার জানান, ‘বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সভাকক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয় দুর্যোগ মোকাবিলায় টিম গঠন করা হয়েছে।’
উপজেলা প্রশাসন থেকে জানা যায়, ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম মাঝেরচরসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন