সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক যুবদল নেতাকে মারপিটের পর পুলিশে দিল স্থানীয় সংসদ সদস্য মমিন মণ্ডলের সমর্থকরা।
বেলকুচি পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি মমিন মণ্ডলের ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম সরকারের ভাই আল আমিন বাবু ওরফে বাঘা বাবু ও বেলকুচি পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানার বিরুদ্ধে যুবদল নেতাকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকায় মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে বেলকুচির মুকুন্দগাঁতী এলাকায় বেলকুচি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কিবরিয়াকে পেটানো হয়। আহত অবস্থায় বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি বাড়ি চলে যান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চন্দনগাঁতীর বাড়ি থেকে কিবরিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় পুলিশে ধরিয়ে দেন বাঘা বাবু ও মাসুদ।
বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা মাসুদ রানা ও বাঘা বাবুকে মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ উল্লেখ করে বলেন, এরা এমপির লোক। দলের নাম ভাঙিয়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করছে। যুবদল নেতা কিবরিয়াকে তারা মেরেছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, গোলাম কিবরিয়া বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাসমাবেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। তাকে দিনে দুপুরে পিটিয়ে আহত করে সরকারি দলের ক্যাডাররা। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে পুলিশি গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িতে যান। রাত ৩টার দিকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পুলিশে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। কিন্তু আমাদের পথে পথে বাধা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মীকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে দাবি জানাই, তারা নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন যেন করেন।
এ ব্যাপারে বাঘা বাবুর ভাই ও আব্দুল মমিন মণ্ডল এমপির ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার বলেন, স্থানীয় ছেলেরা গোলাম কিবরিয়াকে মারপিট করেছে শুনেছি। ঘটনাস্থলে আমার ভাই ছিল না।
বেলকুচি থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের দুটি নাশকতার মামলার আসামি কিবরিয়াকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন