বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সিরাজগঞ্জ শহরে কোনো প্রভাব না পড়লেও মহাসড়কে সীমিত যানবাহন চলাচল করেছে। দূরপাল্লার পরিবহন খুবই কম সংখ্যক চলাচল করেছে। তবে পণ্যবাহী পরিবহনগুলো চলতে দেখা গেছে। হরতাল সফল করতে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি-জামায়াতের ১৪৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। অপরদিকে বিভিন্ন স্থানে হরতালবিরোধী সমাবেশ ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালের দিকে শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও ১০টার পর থেকে কিছু কিছু খুলতে শুরু করে। শহরে বিপুল সংখ্যক সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক, পিকআপ, রিকশা-ভ্যান চলাচল করছে। অফিস-আদালত খোলা থাকলেও লোক সমাগম কম দেখা গেছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জে বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মহাসড়কে কিছু কিছু বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করছে। যানবাহনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য টহল ডিউটিতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, সিরাজগঞ্জে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জেলার সড়ক-মহাসড়কগুলোতে পুলিশি কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে হরতালবিরোধী শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। জেলার অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে শান্তি সমাবেশ।
অপরদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। তাদের কার্যালয় ছিল তালাবদ্ধ। ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও জামায়াতের ১৪৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামিউল আলম বলেন, গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন