সিলেটের জকিগঞ্জের কালিগঞ্জে পুলিশকে উদ্দেশ করে ককটেল বোমা নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় ১৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাত রাখা হয়েছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে জকিগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহরম আলী।
মামলায় ইসমাইল হোসেন সেলিম (৪৮), কবির আহমেদ মেম্বার (৪৫), কাউছার আহমদ (৪৫), সাব্বির হোসেন (৩৫), আনোয়ার হোসেন খান (৩৫), জুয়েল আহমদ (৩৫), রেজাউল (৩৫), ফয়সাল আহমদ (৩২), সামাদ রেজা (৩৫), শেখ শাকিল (৩৫), নেজাম উদ্দিন (৩৫), কামাল (৪০), জাকির (২২), নাজিম (৪২), হোসাইন আহমদ (৩৫), ফয়সাল আহমদ জুয়েল (৩২), এনাম (৩০), লোকমান আহমদ লুকু (৩২), জাকির (৩০), মঞ্জুর আহমদ (৪৫), হাবিবুর রহমান (৪৫), আব্দুল কাদির (৪৫)সহ বিএনপি-জামায়াতের প্রায় ১৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এদিকে শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মানিকপুর ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামের জালাল আহমদ ককা মিয়ার ছেলে বিএনপি নেতা সাব্বির আহমদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কালীগঞ্জ বাজারস্থ যাত্রী ছাউনির সামনে জকিগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের ওপর বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা একত্র হয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে অবস্থান করে। এমন সংবাদে এসআই মহরম আলী পুলিশ নিয়ে সেখানে গেলে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে পুলিশের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ দা, শাবল, রড, বাঁশের লাঠি, রামদা ও ইট, পাটকেল মারে।
এতে পুলিশ সদস্য বাবলু চন্দ্র দাস, বিলাস দাস, মো. শামীম আহমদ, মোক্তার হোসেন আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিস্ফোরিত ককটেলের কিছু অংশ, ৫টি ইটের টুকরা, ৭টি পাথর, ৪টি বাঁশের লাঠি জব্দ করে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক আসামি ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন