সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বামী ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (২৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-৪ ও র্যাব-১৩ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে রংপুরের পীরগাছা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. ফারুক হোসেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার মুকুন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী নিহত শিমু আক্তার একই এলাকার বাসিন্দা। দুই সপ্তাহ আগে আশুলিয়ার গাজিরচট নয়াপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তারা দুজনেই আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার অ্যাপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী শিমু পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন, এমন সন্দেহ করতেন স্বামী ফারুক হোসেন। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হতো। গত ১৯ জুন দিবাগত রাতে একই বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডার পর একপর্যায়ে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয় শিমুকে। এতে শিমুর গলা প্রায় দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। হত্যার পর শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায় ফারুক।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ জুন) নিহতের বড় বোন আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব আসামিকে আইনের আওতায় আনতে তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার (২১ জুন) র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-৪ ও র্যাব-১৩ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে রংপুরের পীরগাছা থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, আসামি ফারুককে গতকাল রাতে রংপুরের পীরগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শিমু পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এমন সন্দেহ থেকেই ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হাতের কাছে থাকা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে শিমুর গলায় আঘাত করে প্রায় দ্বি-খণ্ডিত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আসামিকে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন