

বলিউডের ঝলমলে পর্দায় আজ যে রণবীর সিং অনায়াসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তার পেছনে লুকিয়ে আছে সংগ্রাম, প্রস্তুতি আর নীরব এক প্রেরণার গল্প। ২০১০ সালে ‘ব্যান্ড বাজা বরাত’ দিয়ে যাত্রা শুরু করা এই অভিনেতার ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে প্রেমিক, খলনায়ক ও কৌতুকাভিনেতা—সব রূপেই দর্শকদের চমকে দিয়েছেন। সম্প্রতি ‘ধুরন্ধর’-এ ‘হামজা’ চরিত্রে তার অভিনয় যখন প্রশংসার জোয়ার তুলেছে, ঠিক তখনই সামনে এলো এক অজানা অধ্যায়। এই বহুরূপী তারকাকে গড়ে তুলতে নেপথ্যে যিনি ছিলেন সবচেয়ে বড় শক্তি, তিনি আর কেউ নন, বলিউডের আরেক জীবন্ত কিংবদন্তি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রণবীর যখন বলিউডে প্রথম পা রাখেন, তখন তাকে অভিনয়ের খুঁটিনাটি শিখিয়ে প্রস্তুত করার দায়িত্ব ছিল নওয়াজের কাঁধে। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার (এনএসডি) প্রাক্তনী নওয়াজউদ্দিন তখন বলিউডে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার লড়াই চালাচ্ছিলেন। সে সময় রণবীরের প্রথম ছবি ‘ব্যান্ড বাজা বরাত’-এর জন্য তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন নওয়াজ নিজেই।
আর প্রথম ছবিতেই রণবীর শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতার পুরস্কার জয় করেছিলেন। তবে এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব নিজে নিতে নারাজ নওয়াজউদ্দিন। বরং তিনি একে রণবীরের নিজস্ব দক্ষতা হিসেবেই দেখছেন। নওয়াজ বলেন, ‘রণবীরের মধ্যে শুরু থেকেই একজন বড় অভিনেতা হওয়ার সব গুণ ছিল। আমি শুধু তাকে সঠিক দিশা দেখানোর চেষ্টা করেছি।’
এ বিষয়ে নওয়াজউদ্দিন জানান, বিট্টু শর্মা চরিত্রের জন্য রণবীরকে বেশ কিছুদিন অভিনয়ের কর্মশালা বা ওয়ার্কশপ করিয়েছিলেন তিনি। তার কথায়, ‘আমি আসলে সেই সময় অভিনয় শিখতে চাওয়া প্রত্যেকের জন্যই প্রস্তুত ছিলাম। রণবীরও সেই কর্মশালার অংশ ছিল। তবে আমি বিশ্বাস করি না, শুধু ওয়ার্কশপ করলেই কেউ অভিনেতা হয়ে যায়। রণবীরের নিজস্ব প্রতিভা ছিল বলেই আজ সে এই অবস্থানে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে আমি কেবল তাকে দক্ষতা ব্যবহারের উপায়গুলো দেখিয়েছি। কিন্তু দিনশেষে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কাজটা অভিনেতাকেই করতে হয়। রণবীর সেটা দারুণভাবে পেরেছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ধুরন্ধর’। নির্মাতা আদিত্য ধরের পরিচালনায় নির্মিত এ সিনেমায় রণবীরের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন, অক্ষয় খান্না, সঞ্জয় দত্ত, সারা অর্জুন, আর.মাধবনসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন