সাগরদ্বীপ সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুম শুরু হয়েছে। বন বিভাগ থেকে অনুমতিপত্র গ্রহণ করে ৩ নভেম্বর থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন শুঁটকিপল্লীতে নৌ-বহর নিয়ে যাত্রা শুরু করবেন জেলে, বহদ্দার ও দোকানিরা।
ইতোমধ্যে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার জেলে, ব্যবসায়ী, বহদ্দার ও দোকানি তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পাশ পারমিটের জন্য অবস্থান নিয়েছে মোংলার চিলা সংলগ্ন খাল ও নদীর কূলে।
বন বিভাগের অনুমতি পেলে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) থেকে দুবলার চরের উদ্দেশে রওয়ানা দিবে তারা। এরপর সেখানে গিয়ে জেলেরা নির্দিষ্ট চরগুলোতে অবস্থান নিয়ে নভেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ মৌসুমের পাঁচ মাসের জন্য থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের ঘর এবং শুঁটকি শুকানোর মাচা তৈরি করবেন। মোংলা চিলা এলাকার জেলে মো. মনা মিয়া বলেন, আমরা দীর্ঘ ৫ মাস দুবলার চরে থাকার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে মোংলার চিলা খালে অবস্থান নিয়েছি। বন বিভাগ থেকে অনুমতি পেলে শুক্রবার রওনা দেব।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কর্মকর্তা রানা দেব জানান, দেশের সামুদ্রিক শুঁটকি উৎপাদনের অন্যতম স্থান হচ্ছে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোল রেঞ্জের দুবলার চর। ৩ নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পাঁচ মাস চলবে শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া। বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত লইট্টা, ছুরি, চিংড়ি, লাক্ষা, জাবা, পোয়া মাছ থেকে তৈরি করা হবে শুঁটকি। এসব শুঁটকি খুবই জনপ্রিয়। এখান থেকে উৎপাদিত এসব শুঁটকি চলে যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আবার দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাছাইকৃত শুঁটকি বিদেশেও রপ্তানি হয়। এ ছাড়া জেলেদের জালে ধরা পড়া ছোট প্রজাতির মাছ, কাঁকড়া ও জলজপ্রাণি (রাস বলা হয়) শুঁকিয়ে তা দিয়ে ফিশ মিল তৈরি করা হয়।
এ বছর দুবলা জেলেপল্লীর টহল ফাঁড়ির আওতাধীন আলোরকোল, মাঝের কিল্লা, শেলা ও নারকেলবাড়িয়া এই চারটি চরে এক হাজার ৩০ জেলে ঘর ও শুঁটকি সংরক্ষণের ঘর, ৬৩টি ডিপো ঘর, ৯৬ দোকান ঘর তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু জেলে ও তাদের ব্যবহত ট্রলারের অনুমতি নিয়ে জেলেরা যাত্রা করবে দুবলার চরে।
মন্তব্য করুন