ঢাকাতে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে এলাকায় চলে আসেন সোনাগাজীর যুবদল কর্মী মোশারফ হোসেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় এলাকায় আত্মগোপন করেন তিনি। স্থানীয়রা জানায়, আত্মগোপনে থেকে মোশারফ তার নিজ নামের ফেসবুক আইডিতে শনিবার রাতে আপত্তিকর পোস্ট করলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মোশারফ তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন, ‘রেডি হয়ে যাও যোদ্ধারা, দেশমাতৃকা রক্ষায় যুদ্ধের বিকল্প নাই, ৯ ইউনিয়নে ৯টা মুরগি ধরতে হবে, ইনশাআল্লাহ।’
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকাতে বিএনপির মহাসবাবেশ চলাকালে ‘প্রেস লেখা ভেস্ট’ পরা মহানগর যুবদলের সদস্য রবিউল ইসলাম নয়নের পাশে একাধিক ছবিতে তাকে দেখা গেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ছবি দেখে শনাক্তের পর তাকে এলাকাবাসীর সহয়তায় ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে ইউপি চেয়ারম্যান।
রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার মঙ্গলকান্দি এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদলের নেতৃত্বে তাকে আটক করে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। মোশারফ হোসেন চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারি গ্রামের শফিউল্লাহ মিয়ার ছেলে।
চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল জানান, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ চলাকালে সাংবাদিকের পোশাক পরে পিকেটিং ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারী যুবদল নেতা নয়নের সাথে তাকে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা ছবি ও ভিডিও দেখে তাকে শনাক্ত করার পর পুলিশে সোপর্দ করেছি।
চরদরবেশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মোশারফ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব প্রার্থী ছিলেন। সে মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাকে ধরে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে সরকার সমর্থকরা। ঢাকাতে ভাঙচুরের সাথে জড়িত কি না সেটা জানেন না বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, মোশারফকে আটকের খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় হত্যাসহ ৮টি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর সে ঢাকাতে ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন