রংপুরের তারাগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অমান্য করে বিভিন্ন পরিবহনের পুরোনো টায়ার পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করে চলছে ফার্নেস অয়েল নামের জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। নামহীন অবৈধ এ কারখানায় বেআইনিভাবে চালু রাখার অভিযোগে কারখানাটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুরে সহকারী পরিচালক রতন কুমার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা ও থানা পুলিশের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে কারখানাটির কর্মচারীরা স্থাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে টায়ার পোড়ানোর কাজ করছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খিয়ারজুম্মা এলাকায় মনোয়ারের ভাটা সংলগ্ন স্থানে অরক্ষিত অবস্থায় টায়ার পুড়িয়ে ফার্নেস অয়েল নামের জ্বালানি তেল উৎপাদন ও পোড়ানো টায়ারের ছাই থেকে উন্নতমানের কার্বনব্ল্যাক উৎপাদন করা হচ্ছে।
কারখানায় কর্মরত কর্মচারীরা বলেন, এগুলো প্রিন্টিং প্রেসে, জুতার কালি, ব্যাটারিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। টায়ার থেকে বের হওয়া তার ফাউন্ড্রি শিল্প ও স্টিল রিরোলিং মিলে ব্যবহার করে রড তৈরি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানাটিতে টায়ার পোড়ানোর ফলে আশপাশের এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আশপাশের ফসল ও গাছপালার ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় অর্থদণ্ড ও অবৈধ প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রতন কুমার জানান, কারখানাটিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া গাড়ির টায়ার পুড়িয়ে এক ধরনের তেল তৈরি করছিল। এর ফলে যে ছাই, ধোয়া ও বর্জ্য তৈরি হয় তা পরিবেশ ও জনস্বাস্থের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ওই প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর ৬(গ) ধারায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন