বরগুনার তালতলী উপজেলার ৫নং বড়বগী ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া ৯নং ওয়ার্ডের রেডক্রিসেন্টের একটি সাইক্লোন শেল্টার দখল করে সপরিবারে বসবাস করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ছগির বিশ্বাস।
অনেক দিন ধরেই বন্ধ থাকার সুযোগে তিনি ওই সাইক্লোন শেল্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু, কিছুদিন পূর্বে ঘূর্ণিঝড় হামুনের সময় সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেননি এবং দখলও ছাড়েননি তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাইক্লোন শেল্টার দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন ছগির। কিছু কাঠ দিয়ে একত্রিত করে বানিয়েছেন দুটি চৌকি। রেখেছেন গৃহস্থলির মালামাল। রান্নার জন্য বারান্দার এক কোনে চুলা বসানো হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টার দখল করে তিনি ও তার স্ত্রী বসবাস করছেন।
সাইক্লোন শেল্টারের নিচে গরু, ছাগল এবং রান্না করার লাকড়ি রেখেছেন তিনি। উপরে উঠলে দেখা যায়, সেখানে মুরগি পালন করছেন তিনি। তবে, এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন সাইক্লোন শেল্টার দখল করে থাকা ছগির বিশ্বাস।
স্থানীয়রা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আসলে সাইক্লোন শেল্টারে গেলে মানুষ মারা যাবে। সেখানকার পরিবেশ মোটেও ভালো নেই।
সাইক্লোন শেল্টার দখলদার ছগির বিশ্বাস (৪৫) জানান, আমার বাবার দেওয়া জমিতে সাইক্লোন শেল্টার করা হয়েছে।
৯নং ওয়ার্ডের রেডক্রিসেন্টের সদস্য এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ছগির বিশ্বাস আমার স্বামীর বড় ভাই কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আসলে সাইক্লোন শেল্টার ছেড়ে দিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে থাকেন ।
রেডক্রিসেন্টের ৯নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মো. আ. গনি জানান, আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত শোনার সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসীকে মাইক দিয়ে জানিয়ে দেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য। কিন্তু এটি প্রভাব দেখিয়ে দখল করে থাকায় কেউ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে না।
উপজেলা রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান খান বলেন, কয়েকবার ছগিরকে সাইক্লোন শেল্টার দখল মুক্ত করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয় তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা বলেন, সাইক্লোন শেল্টারের রুমে এভাবে থাকতে দেওয়া বিধিসম্মত নয়। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন