সিডর, আইলা, নার্গিস, মহসেন, মিধিলি, রিমালের মত বড় বড় প্রবল ঘূর্ণিঝড়সহ প্রায় প্রতি বছর ছোট বড় অনেক বন্যার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় উপকূলীয় জেলা বরগুনার মানুষের। ২০০৭ সালের সেই ভয়ংকর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের আতঙ্ক যেন রিমাল নতুন করে স্মরণ করিয়ে গেল।
তাই মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান আর হারাতে চান না উপকূলের বাসিন্দারা। আবার বড় কোনো ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াল থাবায় নিঃস্ব হওয়ার আগেই তাই খালি গায়ে রং দিয়ে বুকের উপর লিখেছেন ‘ত্রাণ নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ ও সাইক্লোন শেল্টার চাই।’ আর এভাবেই মানববন্ধন করে নিজেদের প্রাণের দাবি জানিয়েছেন বার বার ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত বরগুনা উপকূলের মানুষ।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে বরগুনার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খেজুরতরা গ্রামের খাকদোন নদীর পাড়ে শতাধিক এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা সাগর উপকূলীয় বরগুনাবাসী প্রতিনিয়তই ঝড় জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে টিকে থাকি। প্রতিনিয়তই অব্যাহতভাবে ভাঙছে আমাদের উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। এই বাঁধগুলো হচ্ছে এ অঞ্চলের জানমালের রক্ষাকবচ, অথচ বাঁধগুলো কখনোই টেঁকসইভাবে সংস্কার করা হয় না। সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আমরা থাকি প্রতিনিয়ত। আমরা কোনো ত্রাণ চাই না, আমরা চাই টেকসই বেড়িবাঁধ। টেকসই বেড়িবাঁধ স্থাপিত হলে যত ঝড় বন্যা জলোচ্ছ্বাস যাই-ই হোক না কেনো আমরা অন্তত নিরাপদে বাঁচার নিশ্চয়তা পাবো।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ২নং গৌরচন্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানভীর আহম্মেদ সিদ্দিকী, গৌরীচন্না ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রাসেল আকন, বরগুনা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাগর জোমাদ্দার, আদর্শ গ্রামের সভাপতি জসিম উদ্দিন, ভূমিহীন ছিন্নমুল সমিতির সভাপতি বশির আহম্মেদ ও জাপানি ব্র্যাকের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন