নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাঁশির সুরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ

৭০ বছর বয়সেও বাসির সুরে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন আব্দুল্লাহ। ছবি : কালবেলা
৭০ বছর বয়সেও বাসির সুরে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন আব্দুল্লাহ। ছবি : কালবেলা

আবহমান বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রতিভা। রয়েছেন অনেক গুণী শিল্পী। কোনো কিছুর প্রত্যাশা ছাড়াই যারা শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করে যান সারা জীবন। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ তেমন একজন গুণী শিল্পী। যিনি ৭০ বছর বয়সেও বাঁশির সুরের মুর্ছনায় মুগ্ধ করছেন বাঁশি প্রেমিদের।

৫৮ বছর ধরে তিনি বাঁশের বাঁশি বাজিয়ে আসছেন। দীর্ঘ এ সময়ে তিনি অংসখ্য মানুষকে শিখিয়েছেন বাঁশি বাজানো। শুধু তাই নয়, তিনি বানান উন্নত মানের বাঁশের বাঁশি। নাম মাত্র দামে তা বিক্রি করেন।

বাঁশি বাদক দরিদ্র আব্দুল্লাহ বলেন, তিনি ১২ বছর বয়সে রাখালের কাজ করতেন। সেই সময় অন্য রাখালের বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে বাঁশির প্রেমে পড়েন। কোনো গুরু ছাড়াই শেখেন বাঁশি বাজানো। আস্তে আস্তে তার বাঁশির সুরে মুগ্ধ হতে থাকেন বাঁশি প্রেমিরা। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতসহ সব ধরনের গানে তিনি বাঁশি বাজানো রপ্ত করেন।

বাঁশি বাাজানোর পাশাপাশি তিনি নিজেই বাঁশের বাঁশি তৈরির কাজ শুরু করেন। সেই বাঁশি তিনি বিভিন্ন মেলাতে নিয়ে বিক্রি করেন। একটা সময় তার সুরের মতো তার তৈরি বাঁশিরও সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বাজান বাঁশি। অনেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে তার বাড়িতে এসে কিনে নিয়ে যান তার তৈরি বাঁশের বাঁশি। অনেকেই তার কাছে বাঁশি বাজানো শেখেন। জীবনে তার একটাই চাওয়া বাঁশি যেন দেশের মাটি থেকে হারিয়ে না যায়।

নবাবগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, আব্দুল্লাহ বিনা পারিশ্রমিকে অনেককেই বাঁশি বাজানো শেখান। পাশাপাশি দেশীয় ঐতিহ্যবাহী এ বাদ্যযন্ত্রের অন্যতম বাঁশের বাঁশির প্রসারের জন্য তিনি বাঁশি তৈরি করেন এবং বিক্রি করেন। যে যত টাকা দেন তাই নেন। এভাবেই তিনি বাঁশির সুরের নেশায় জীবনের ৭০ বছর অতিবাহিত করেছেন। এই বয়সেও তিনি এখনো বাঁশের বাঁশির সুরে মুগ্ধ করছেন বাঁশি প্রেমিদের।

নবাবগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আ. মোন্নাফ বলেন, বয়সের ভারে হয়তো আর বেশি দিন তিনি বাঁশি তৈরি করতে পারবেন না। কিন্তু তার রেখে যাওয়া শিষ্যরা তার সুরের মূর্ছনাকে টিকিয়ে রাখবে যুগ যুগ ধরে। বাঁশির প্রতি তার ভালোবাসা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাঁশি প্রেমিদের কাছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুযোগ বুঝে ট্রাম্পের কাছে কাশ্মীর নিয়ে আবদার মোদির

শেখ মুজিবের নামে হলের নামকরণ পুনর্বহালের দাবি জাবি সাংস্কৃতিক জোটের

স্টারলিংকেও ছাড়িয়ে গেল চীনা ইন্টারনেট, তুফান গতি

ইরান নিয়ে আমি কী করতে যাচ্ছি কেউ জানে না : ট্রাম্প

ডিএনসিসির ১১০০ মশককর্মী শিখলেন মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের কৌশল

ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

খুলনায় ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিন পালন

বিশ্বের শীর্ষ ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেল ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি 

প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের সুখবর দিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় 

পরবর্তী বিশ্বকাপ জিতবে রোনালদোর পর্তুগাল, বিশ্বাস বার্সা কিংবদন্তির

১০

জবিতে পাণ্ডুলিপি প্রকাশনা চুক্তি স্বাক্ষর, ২ গবেষণা বই আকারে প্রকাশ

১১

‘জুবাইদা রহমানের কর্মময় জীবন দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়’

১২

কারামুক্ত হলেন গান বাংলার তাপস

১৩

দক্ষিণ সিটি মেয়রের মেয়াদ শেষ, শপথ নেওয়ার সুযোগ নেই : আসিফ

১৪

এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা 

১৫

‘পুলিশ-সেনাবাহিনীর সঙ্গে বোঝেন, তবুও আমাদের টাকা দিতে হবে’

১৬

দেবদাস সিনেমায় কত ফুটের শাড়ি পরে দৌড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া

১৭

পুলিশকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বললেন আইজিপি

১৮

১০ দিনেই ফুরিয়ে যাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শক্তি

১৯

তেহরানে আবারও হামলা চালাল ইসরায়েল

২০
X