জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক প্রবাসী যুবককে ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মেহেদী হাসান সুজন (৩৫) নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। নির্যাতিত যুবকের নাম মো. সাদ্দাম হোসেন (২৮)।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাদ্দাম হোসেন। অভিযুক্ত সুজন সরিষাবাড়ী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার কাঠিয়ার বাড়ীর মো. সুরুজ্জামানের ছেলে। বর্তমানে সে মুরাদ হাসান গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পুঠিয়ারপাড় গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নজরুল ইসলামের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল।
এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর মঞ্জুরুল ইসলাম জামালপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ক অঞ্চল) আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মঞ্জুরুল ইসলামের ছোট ভাই সৌদি আরব প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে আসেন।
গত ২০ নভেম্বর সোমবার দুই ভাই ও বিবাদী পক্ষ মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যান। দুপুর দেড়টার দিকে আদালত থেকে ফেরার পথে পৌরসভার পপুলার মোড় এলাকায় নজরুল ইসলামের নির্দেশে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান সুজনসহ ৮-১০ জন লোক প্রবাসী সাদ্দাম ও তার বড় ভাই মঞ্জুরুল ইসলামের গাড়ি গতিরোধ করে।
পরে দুই ভাইকে তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি বাড়িতে আটকে রেখে টানা ৩ ঘণ্টা শারীরিক নির্যাতন চালায়। এ ছাড়াও তারা সাদ্দামকে ভয়ভীতি দেখিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জবানবন্দি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে।
নির্যাতিত যুবক সাদ্দাম হোসেন জানান, মারধরে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। সুকৌশলে আমার স্ত্রী মাহফুজা আক্তার ইলাকে মোবাইলে মেসেজ করে বিষয়টি জানাই।
পরে আমার স্ত্রী ৯৯৯-এ কল করলে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ বিকেল সাড়ে ৪টায় আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে পরিবারসহ তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন