কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুড়িগ্রামে চায়না কমলা চাষে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন ফারুক

কুড়িগ্রামে চায়না ঝুড়ি জাতের কমলা চাষ করছেন মো. আবু রায়হান ফারুক। ছবি : কালবেলা
কুড়িগ্রামে চায়না ঝুড়ি জাতের কমলা চাষ করছেন মো. আবু রায়হান ফারুক। ছবি : কালবেলা

কুড়িগ্রামে চায়না ঝুড়ি জাতের কমলা চাষ করে দিনবদলের হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন মো. আবু রায়হান ফারুক। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কাজী মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে দুই বিঘা জমিতে শতাধিক কমলা গাছ লাগিয়েছেন তিনি। গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কমলা। চারা লাগানোর মাত্র দেড় বছরের মাথায় গাছে কমলা আসতে শুরু করে। বর্তমান তার বাগানের বয়স আড়াই বছর।

এ বছর তিনি বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষাবাদ শুরু করছেন। আর মাত্র কয়েকদিন পরই বাগান থেকে প্রায় ১৫-২০ মণ কমলা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি, যা বর্তমান কমলার বাজারমূল্যে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। ফলে উৎপাদন ব্যয় বাদে দ্বিগুণ লাভ হবে বলে জানিয়েছেন আবু রায়হান ফারুক।

সরেজমিনে দেখা যায়, আবু রায়হান ফারুক পড়াশোনা শেষ করে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বাবার জমিতে সমন্বিত ফলের চাষ শুরু করেন। প্রায় ৬ একর জমিতে রয়েছে দেশি-বিদেশি নানান জাতের ফলের গাছ। আম, মাল্টা, আঙুর চাষের পাশাপাশি কমলা চাষের উদ্যোগও নেন তিনি। প্রথমে বগুড়া শহর থেকে একটি চায়না ঝুড়ি কমলা জাতের গাছ সংগ্রহ করেন তিনি। একটি গাছ থেকে কলম পদ্ধতি ব্যবহার করে দুই বিঘা জমিতে ১০০ কমলা গাছ রোপণ করেন। কলমকৃত গাছের চারা থেকে দেড় বছরের মধ্যে কমলা পেতে শুরু করে। বর্তমানে তিনি বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের স্বপ্ন বুনছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলা বাগানে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। সময়মত জৈব সার, কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক স্প্রে ব্যবহার করে কমলা গাছ থেকে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

আবু রায়হান ফারুক বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে আমি কৃষিতে আত্মকর্মসংস্থানের এ পথ বেছে নেই। কমলা চাষের পাশাপাশি বাগানে বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ আছে। তবে বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় কমলা চাষের আগ্রহ বেড়ে গেছে। আমার দুবিঘা জমিতে চায়না ঝুড়ি কমলা জাতের শতাধিক কমলা গাছ রয়েছে। এটি মিষ্টি জাতের কমলা। খেতে অনেক সুস্বাদু। বর্তমান বাগানের বয়স আড়াই বছর। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা খরচ করেছি। আশা করছি এ বছর কমলা বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভ হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানুষের কমলার চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যদি দেশের মধ্যে কমলার বাণিজ্যিক চাষ করা যায় তাহলে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাইরের দেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

কমলা বাগান দেখতে আসা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ফারুকের কমলা বাগান দেখে খুবই ভালো লেগেছে। চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিতে মনোযোগ দিলে ভালো আয় করা সম্ভব। আমিও কমলা বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে কৃষি বিভাগ যদি পাশে থাকে তাহলে কমলা চাষিরা আরও উপকৃত হবে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, কমলা চাষ জেলায় কৃষিক্ষেত্রে নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কমলা চাষের এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হনি। তবে ফারুকের কমলা বাগানে কৃষি বিভাগের সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জেনেভা ক্যাম্পের হত্যা মামলায় ২৬ আসামিকে গ্রেপ্তার  

রিয়ালের চুক্তির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ভিনি

মাউশির চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সচিবালয়ের সামনে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের অবস্থান

শিক্ষার্থীদের রাতের আড্ডা বন্ধে চৌদ্দগ্রাম ইউএনওর অভিযান

কাজে আসছে না কোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স

আইপিএলের পর দ্বিতীয় সেরা হতে চায় যে টি-টোয়েন্টি লিগ

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে সেমিস্টার ডে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন : আইন উপদেষ্টা

নাটোরে ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে চলছে ট্রেন

১০

ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শিক্ষকের রাজকীয় বিদায়

১১

বেড়েছে পদ্মার পানি, ডুবেছে ৩১ গ্রাম

১২

ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, নজর রাখছে জার্মান সংস্থা

১৩

নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

১৪

ঝগড়া থামাতে গিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

১৫

মোহাম্মদপুরের কুখ্যাত ছিনতাই চক্রের প্রধান ভাগনে বিল্লাল গ্রেপ্তার

১৬

কোন কোন শর্ত মেনে ছেলেদের চীনাবাদাম খাওয়া উচিত

১৭

যাবজ্জীবন দণ্ড ভোগ করে মুক্তির পর দোকান পেলেন দুলাল

১৮

রাজস্থান থেকে মিস ইউনিভার্স বিশ্বমঞ্চে মনিকা বিশ্বকর্মা

১৯

জুলাইয়ে সড়কে ঝরেছে ৪১৮ প্রাণ

২০
X