নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় বীজতলা ডুবে যাওয়ায় বাড়ির উঠানে বোরো ধানের বীজ বপন করেছেন এক কৃষক। তিনি উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা গ্রামের বাসিন্দা এবং একই ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচিত সদস্য।
চলতি অগ্রহায়ণ বোরো ধানের বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়। গত ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৬০ থেকে ২৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। অসময়ের এ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে এলাকার বেশিরভাগ ধানের বীজতলা। আগে থেকে জাগ দিয়ে রাখা ধানের বীজ অঙ্কুরিত হয়ে যাওয়ায় সেই বীজ অনেকেই গরুকে খাবার হিসেবেই খাইয়েছেন। অন্যদের পথে না হেঁটে বিকল্প চিন্তা থেকে নিজের উঠানে সেই বীজ বপন করলেন ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান রুবেল।
মাহবুবুর রহমান রুবেল কালবেলাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই আমি বীজ তেরি করেছিলাম। কিন্তু মিধিলির সঙ্গে আকষ্মিক বৃষ্টিতে সব বীজতলা ডুবে যায়। নিরুপায় হয়েই উঠানে এ বীজগুলো বপন করেছি। তা না হলে বীজগুলো নষ্ট হয়ে যেত। তাই এ সমাধান বেছে নিয়েছি।’
রুবেলের এ বিচিত্র কাজ দেখে স্থানীয় অনেকেই তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। এ অভিনব সমাধানকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন সবাই।
চাটখিল উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জুনাইদ আলম কালবেলাকে বলেন, ‘বীজ বপন করার আগে ৬০ থেকে ৭০ ঘণ্টা জাগ দিয়ে রাখতে হয়। ওনি ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই বীজগুলো জাগ দিয়ে ফেলেছিলেন। অঙ্কুর গজানো ধানগুলো রোপণ না করা গেলে নষ্ট হয়ে যেত। অঙ্কুরিত বীজ বপনের আগেই বীজতলা ডুবে যাওয়ায় সেগুলো তিনি বাড়ির উঠানে বপন করেছেন। এ জন্য তাকে বাহবা দেওয়া দরকার।’
মন্তব্য করুন