নড়াইলের লোহাগড়ায় মিল থেকে ধান ছাটাই করে না আনায় কোলের সন্তান কেড়ে নিয়ে জলন্ত চুলায় পোড়া কাঠ দিয়ে পিটিয়ে এক গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের আমাদা-হামারোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন।
আহত গৃহবধূর স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে হামারোল গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে রায়হান শেখ (৩৫) সাথে একই গ্রামের মৃত ইনজাহের খানের মেয়ে মালা খানম (২১) এর বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর থেকে বিভিন্ন সময়ে স্বামী রায়হান স্ত্রী মালার কাছে টাকা দাবি করত। এ নিয়ে স্বামী রায়হান স্ত্রী মালাকে নানা শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। রায়হান ও মালা দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
গত রোববার সকাল ৬টার দিকে রায়হান স্ত্রী মালাকে ধান ছাঁটাই করে আনতে বলেন। ছোট বাচ্চা নিয়ে ধান ছাঁটাই করা সম্ভব নয়- স্ত্রী মালা এমন কথা স্বামী রায়হানকে জানালে রায়হান উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীর কোলে থাকা সন্তানকে কেড়ে নিয়ে জ্বলন্ত চুলায় অর্ধেক পোড়া কাঠ দিয়ে স্ত্রী মালাকে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে মালার মা বলেন, আমি বিধবা ও অসহায় নারী। আমার মেয়েটাকে বিয়ের পর থেকে মারধোর করতো রায়হান। আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে জ্বলন্ত চুলায় পোড়া কাঠ দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছে পাষণ্ড রায়হান।
আহত মালার স্বামী অভিযুক্ত রায়হানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি মারধরের ঘটনা স্বীকার করেন। তবে তিনি তার শরীরে আগুন দেননি বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন