

বিয়ের দাবিতে বরখাস্ত হওয়া ওসি সেলিম রেজা চৌধুরীর বাড়িতে অনশনরত নারী উদ্যোক্তাকে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৬ জুন) রাতে নির্যাতিত ওই নারী বাদী হয়ে ওসি সেলিম রেজা চৌধুরীর স্ত্রী ইয়াসমিন পপি ওরফে পলিসহ তিনজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা এলাকার মৃত ইসহাক তালুকদারের মেয়ে জলি খাতুন ও তাড়াশ উপজেলার বানিয়াবহু গ্রামের কালাম চৌধুরীর ছেলে পায়েল চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অনশনরত ওই নারীকে মারধরের অভিযোগ এনে সোমবার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত বুধবার (২১ জুন) সকাল থেকে বিয়ের দাবিতে নওগাঁ ইউনিয়নের বানিয়াবহু গ্রামের মৃত মান্নান চৌধুরীর ছেলে পুলিশ পরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্ত) সেলিম রেজা চৌধুরীর বাড়িতে অনশন শুরু করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার খোলসী গ্রামের এক নারী। এ সময় তিনি বলেছিলেন, ২০২০ সালে নাচোল থানার ওসি থাকার সময় সেলিম রেজার সঙ্গে তার পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেলিম রেজা তার সাথে বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে সেলিম বদলি হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিশেষ শাখা ও ভোলাহাট থানায় যান। ওই সময় পর্যন্ত তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। সেলিম রেজা নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন জানিয়ে ওই নারীকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। কিন্তু পরে জানা যায় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি তিনি। বিষয়টি স্ত্রী জানার পর সেলিম রেজা যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ের দাবিতে ভোলাহাট থানায় যান ওই নারী। সেখানে তাকে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করায় সেলিম। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি ভোলাহাট থানায় গেলে ওসি নিজে ও কনস্টেবল দিয়ে বেধড়ক পেটান বলে অভিযোগ ওই নারীর। তারপরও বিয়ের দাবিতে অনশন করলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান।
এরপর গত ২১ জুন তাড়াশ ওসি সেলিম রেজার বাড়িতে অনশন শুরু করলে বিকেলে তার স্ত্রীসহ স্বজনেরা মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
মন্তব্য করুন