মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নে এখন হারুন বাহিনীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। চাঁদা না দেওয়ায় দোকান লুটপাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় এখন সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
জানা যায়, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ভুনবীর ইউনিয়নের গোপেন্দ্রগঞ্জ বাজারের শুভ পোলট্রি ফার্মের দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট ও মালিকে মারার ঘটনা ঘটে।
দোকানের মালিক মো. হারুনুর রসিদ আবদাল অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এলাকায় শান্তিতে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভুনবীর ইউনিয়নের গোপেন্দ্রগঞ্জ বাজারে আমার মালিকানাধীন দোকানে আমি অবস্থানকালে আমার নিকট ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে হারুনদের সন্ত্রাসী বাহিনী। আমি এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে ১০ থেকে ১২ জন লোক আমার দোকানে এসে আমার দোকানের মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট ও ভাঙচুর করে। আমি প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা আমাকে মাটিতে ফেলে মারধোর করে।
তিনি বলেন, আমি আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকলে আমার দোকানে থাকা ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমি হাল্লা চিৎকার করলে দৌলত মিয়া, সনর মিয়া, জালাল মিয়া আগাইয়া আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এ সময় বিবাদী কামাল মিয়া দৌলত মিয়াকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে লাটি দিয়ে আঘাত করলে তিনি মারাত্মক জখম হয়।
এই ঘটনায় দোকানের মালিক মো. হারুনুর রশিদ আবদাল ৮ জনকে আসামি করে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার রাজপাড়া গ্রামের হারুন মিয়া (৩৫), কামাল মিয়া (৩০), দিদার মিয়া (২৮), রহমান মিয়া (২৫), আনোয়ার মিয়া (৪০), ইমন মিয়া (২২), সুব্রত দেব (৪২) ও গোপাল কর (৪৫)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী কালবেলাকে বলেন, হারুন বাহিনীর প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে গরু চোরের মামলা ছিল। গরু চোরের মামলায় সে জেল খেটেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জলমহল দখলের অভিযোগ আছে। কয়দিন পর কারাগর থেকে বের হয়, আবার এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অদৃশ্য কারণে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারেন না।
শ্রীমঙ্গল থানায় ওসি জাহাঙ্গীর আলম সরদার বলেন, অভিযুক্ত হারুন মিয়া কিছুদিন পূর্বে এলাকায় গরু চুরির জন্য হাজতবাসও করেছেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন