যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে ছাগলনাইয়ার রবিউল হক শায়েদ (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় শুভপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শায়েদের বাড়ি শুভপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে। সে মানিক মিয়ার ছেলে। পেশায় সে এস্কেভেটর চালক ছিলেন।
পুলিশ হামলাকারীসহ ৮ জনকে আটক করেছে । আটককৃতদের বাড়ি শুভপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহতের বোন সাথী আক্তার জানান, ‘রবিউল হক শায়েদ তার ছোট বোনসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে শুভপুর ইউনিয়নের শমসের গাজী দিঘি এলাকায় বেড়াতে যান। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা কয়েকজন বখাটে শায়েদের ছোট বোনকে উত্ত্যক্ত করে। শায়েদ তখন প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা এ নিয়ে সেখানে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে ফিরে শুভপুরের ২নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার ফজলুর রহমান সজীবের কাছে বিচার দেন শায়েদ। ইউপি মেম্বার উভয় পক্ষকে সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে আসতে বলেন। ডাক পেয়ে আগে আসেন চম্পকনগর গ্রামের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত যুবকরা। শায়েদ ইউপি মেম্বারের কার্যালয়ে আসা মাত্রই আবার তার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে যায় বখাটেরা। মুহূর্তেই এক বখাটে শায়েদকে ঝাপটে ধরে বুকে ছুরিকাঘাত করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে হামলার পর স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে হামলাকারী যুবকসহ ৮ জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’
ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ জানান, চম্পকনগর শমসের গাজী দিঘি এলাকায় বোনসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে যান রবিউল হক শায়েদ। সেখানে তার বোনকে উত্ত্যক্ত করে বখাটেরা। এ নিয়ে সজীব মেম্বারের কাছে বিচার দেন শায়েদ। দুপক্ষকে নিয়ে বিকেলে বৈঠক ডেকেছিল ইউপি মেম্বার। বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই বখাটেরা শায়েদকে ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখান থেকে হামলাকারী যুবকসহ আটজনকে আটক করা হয়।
তদন্তের স্বার্থে আটকদের নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ছাগলনাইয়া হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নিহত শায়েদকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্য হয়েছে। তার বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন