রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টিআর-কাবিখার চাল ব্যবসায়ীদের গুদামে, পাচ্ছেন না সুবিধাভোগীরা

রায়পুরে টিসি সড়কে গুদামে টিআর-কাবিখার চাল বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী। ছবি : কালবেলা
রায়পুরে টিসি সড়কে গুদামে টিআর-কাবিখার চাল বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী। ছবি : কালবেলা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে টিআর ও কাবিখার চাল প্রকল্প সভাপতিদের (মেম্বার) কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা ৩০ টাকায় কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের পেছনে টিসি সড়কে হারুন নামের ব্যবসায়ীর গুদামে প্রকল্পের চালের বস্তা দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দুজন সংবাদকর্মী তথ্য সংগ্রহে গিয়ে টিআর-কাবিখার চাল কিনা জানতে চাইলে ওই ব্যবসায়ী উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

চাল ব্যবসায়ী ডিলার হারুনুর রশীদ বলেন, ‘রায়পুরে গোডাউন থেকে ৯ টন চাল কিনেছি আমি। বাকি চাল ও গম টিআর-কাবিখার চাল। আমি ছাড়াও ব্যবসায়ী ওসমান, কাসেম হাজারি, মো. মফিজ, শাকিল চৌধুরী ও ফারুখ হোসেন প্রকল্পের সভাপতিদের (মেম্বার) কাছ থেকে চালগুলো ৩০ টাকায় কিনে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আমি চালগুলো দুই টাকা লাভে বিক্রি করছি। এভাবে আমি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা করছি। আমার সব কাগজপত্র ঠিক আছে। তাই খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কাগজপত্র যাচাই করে আমাকে বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন।’

ব্যবসায়ীরা জানান, ভিজিএফ বা ১৫ টাকা কেজি দরে সরকারিভাবে বিক্রি হওয়া চালের অনেক কার্ডধারী ব্যক্তিই এসব চাল নিজেরাই কেনেন। পরে ছোট ব্যবসায়ীরা সেসব চাল আবার বড় ব্যবসায়ী বা ডিলারদের কাছে বিক্রি করেন। এ ছাড়া টিআর ও কাবিখার চাল যারা বরাদ্দ পান তারা অনেক সময় ডিলারদের কাছে বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে নেন।

রায়পুরের চরবংশী ও চরআবাবিল ইউপির কয়েকজন শ্রমিক জানান, মেম্বাররা কখনোই আমাদের চালের কথা বলেন না। আবার আমাদের ছাড়াই ভেকু মেশিনে মাটি কাটার কাজ করছেন। শুনেছি মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা শহরের কয়েকজন ডিলারের কাছে কম দামে বিক্রি করছেন। সেগুলো কিনে ডিলাররা বেশি দামে মিল মালিক ও অন্যদের কাছে বিক্রি করছেন। আমরা জানতে চাইলে ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেন।

রায়পুর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসিম চন্দ্র বর্ধন বলেন, ‘টিআর, জিআর ও কাবিখার চাল খোলা বাজারে বিক্রির বিষয়ে জানি না। গত মে মাসের আগে টিআর-কাবিখার চাল ও গম ডিও দেওয়া হয়েছে। আমাদের গুদাম থেকে কোনো চাল বেড়িয়ে গেলে আমাদের আর কোনো দায়-দায়িত্ব থাকে না। কোনো গুদামে সরকারি বস্তায় চাল পাওয়া গেলেও আমাদের দেখার কোনো বিষয় নেই। যে কেউ সরকারি চাল কিনে বিক্রি করে থাকেন। মেম্বার ও চেয়ারম্যানও তা করেন।’

রায়পুরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে খাদ্য কর্মকর্তা মাইনুল হোসেন বলেন, ডিলাররা আগে এসব চাল কিনতে পারতেন না। এখন সরকার অনুমতি দেওয়ায় তা প্রকল্পের সভাপতিদের (মেম্বার) কাছ থেকে কিনছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের বক্তব্য, পাল্টা অবস্থান চীনের

পানি কি সত্যিই ত্বক উজ্জ্বল করে

তিশার বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ভূমিকম্প / বুয়েট বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে ঢাবিতে হল পরিদর্শন শুরু

কংক্রিট নির্ভর উন্নয়ন ঢাকাকে অনিরাপদ করেছে : পরিবেশ উপদেষ্টা

সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রুপালি বরখাস্ত, এলাকায় মিষ্টি বিতরণ

মহাসড়কের পাশে মিলল কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক 

ইউআইইউতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি এবং নিরসন বিষয়ক সেমিনার

বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির ৫ সদস্য

হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১০

র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার অপহরণ মামলার আসামি সম্রাট

১১

স্মার্টফোন যেভাবে ভূমিকম্প শনাক্ত করে

১২

ছাত্রদলের ১ ইউনিটের কমিটি স্থগিত

১৩

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে নেবে ১ হাজার ১৫২ জন

১৪

এরিয়া সেলস ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ট্রান্সকম ইলেকট্রনিক্স

১৫

বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ডসের ‘সিইও অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ সিটি ব্যাংকের মাসরুর আরেফিন

১৬

ইসরায়েলসহ মিত্রদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

১৭

জাতীয় ইমাম-খতিব সম্মেলনে চরমোনাই পীর / আলেমদেরকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহারের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না

১৮

ইপিআই টিকাকেন্দ্রে আগুন

১৯

কৃষি ব্যাংক স্টাফ কলেজে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত

২০
X