আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় যুবলীগ নেতাকে আশরাফুল হক জুয়েলকে মারধর ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
শনিবার রাতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলমের অনুসারী ১১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে আসামি করে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা করেন হরিাণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুল হক জুয়েল।
একই রাতে ৯টার দিকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মুহুলের পক্ষে নির্বাচন করার কারণে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়কসহ কয়েকজন নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলমের অনুসারীরা।
জানা যায়, শনিবার রাতে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুল হক জুয়েল দলীয় কার্যালয়ে বসে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করছিলেন। রাত ৯টার দিকে তাহজীব আলমের অনুসারী হরিণাকুন্ডু পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টুর নেতৃত্বে হাশেম আলী, আসাদুজ্জামানসহ প্রায় ৩০ জনের একটি দল নৌকা প্রতীকের স্লোগান দিয়ে আচমকা যুবলীগের কার্যালয়ে ঢুকে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুল হক জুয়েল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাদিক হোসেনসহ উপস্থিত নেতাকর্মীদের মারধর করেন। এ সময় তারা কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্রও ভাঙচুর করেন। যুবলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আহবায়ক আশরাফুল হক জুয়েলসহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মুহুলের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলমের অনুসারীর যুবলীগের অফিসে ঢুকে হামলা, নেতাকর্মীদের মারধর ও ভাঙচুরের করেন ।
আটককৃতরা হলেন উপজেলার চটকাবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আতিয়ার রহমান (৫০), শাহাদত লস্করের ছেলে রানা লস্কর (৩৮) ও নিজামউদ্দিনের ছেলে হজরত আলী (৪৪)।
হরিণাকুন্ডু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, যুবলীগের অফিস ভাঙচুরসহ নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনার একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন