সাতক্ষীরা-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকার যানবাহন, দেয়াল, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টার লাগিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আতাউল হক দোলন এবং নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম গোলাম রেজাকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনী এলাকা-১০৮ সাতক্ষীরা-৪ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সহকারী জজ) প্রবীর কুমার দাস।
তিনি জানান, আজ সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতাউল হক দোলন ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত নোঙর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা বরাবর শোকজ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী এসএম আতাউল হক দোলনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনার বিরুদ্ধে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী হিসেবে আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এ উল্লিখিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সরেজমিন পরিদর্শনকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নজরে এসেছে। আপনার নির্বাচনী প্রচারে নিযুক্ত ব্যক্তিরা এলাকার বিভিন্ন যানবাহন বিশেষত ব্যাটারিচালিত ভ্যান, অটো ও মোটরসাইকেলে পেস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ও ব্যানার লাগিয়েছেন বা সাঁটিয়েছেন। তদুপরি শ্যামনগর-মুন্সীগঞ্জ মহাসড়কে এ. কে. ফজলুল হক এমসিএ কলেজের নামীয় এবং আপনার নাম ও রঙিন ছবিসংবলিত তোরণ রয়েছে যা প্রকৃতপক্ষে আপনার নির্বাচনী প্রচারে অংশ হিসেবে প্রতীয়মান হয়। এ কর্মকাণ্ড সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৭(গ) ও বিধি ১০ এর লঙ্ঘন মর্মে এই কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়।
অপরদিকে নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম গোলাম রেজাকে চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনার বিরুদ্ধে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী হিসেবে আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এ উল্লিখিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট নিম্নলিখিত অভিযোগ কমিটির কাছে করা হয়েছে। আপনার নির্বাচনী প্রচারে নিযুক্ত ব্যক্তিরা এলাকার বিভিন্ন দেয়াল, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিতে আপনার নির্বাচনী পোস্টার সাঁটিয়েছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, অভিযোগ বিষয়ে দুই প্রার্থীর কোনো বক্তব্য থাকলে তা ২৬ ডিসেম্বর জানাতে হবে। এ জন্য সাতক্ষীরা সদর সিনিয়র সহকারী জজের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের ব্যাখ্যা ছাড়াই নির্বাচন কমিশনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন