উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। ভোটাদের আকৃষ্ট করতে প্রার্থীরা দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে দোয়া-আশীর্বাদের জন্য ছুটে গেলেও নেই কোনো প্রতিশ্রুতি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে যায়। কিন্তু এক পক্ষ নিজ দলের ওপর পুরো আস্থা রেখে বিজয়ের মুকুট নিশ্চিত বলে মনে করেছেন দলের মনোনীত প্রার্থীরা। যার দরুণ প্রচার-প্রচারণাকে শুধু ফটোসেশনের মতো করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটযুদ্ধের লড়াইকে অনায়াসে জয় পাবেন বলে মনে করছেন তারা। যদিও অন্যান্য প্রার্থীরা ভোট যুদ্ধের মাঠ ছাড়বেন না।
সিলেট-১ (মহানগর ও সদর উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন নজরুল ইসলাম বাবুল। নাম ঘোষণার পরপরই তিনি দলের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সদস্য অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ আসনে জাতীয় পার্টির মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী ও বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সহজ জয় পাবেন আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী।
সিলেট-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন চারজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ ইসলামী ঐক্যজোটের মো. নাজিম উদ্দিন কামরান এবং তৃণমূল বিএনপির মো. আবুল হোসেন। এখানে ইমরান আহমদ আবারও সহজ জয় পাবেন।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনে লড়ছেন চারজন প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের এম এ মান্নান তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ শাহীনূর পাশা চৌধুরী ,জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির তালুকদার মো. মকবুল হোসেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ মান্নানের সাথে কেউই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারবেন না।
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান, কবি, গবেষক ড. মোহাম্মদ সাদিক। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ব থাকায় এ আসনে ড. মোহাম্মদ সাদিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় সহজ জয় পাবেন আওয়ামী লীগের মো. আবু জাহির।
এ আসনে প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম দলের মো. বদরুল আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. নোমান হাছান, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আব্দুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. শাহিনুর রহমান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. আদম আলী, জাকের পার্টির মো. আনছারুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আ. কাদির।
মৌলভীবাজার-১ আসনে বন ও পরিবেশমন্ত্রী সহজে পার পাবেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দীন তৃণমূল বিএনপির আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ময়নুল ইসলাম।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে প্রার্থী রয়েছেন সাতজন। প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের আব্দুল মোসাব্বির (মশাল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আব্দুর রউফ (মোমবাতি), জাতীয় পার্টির মো. আলতাফুর রহমান (লাঙ্গল), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির তাপস কুমার ঘোষ (হাতুড়ি), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) এর মো. ফাহাদ আলম (ছড়ি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আবু বকর (আম)। তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের সাথে কেউই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারবেন না।
মৌলভীবাজার-৪ আসনে প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আব্দুস শহীদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আনোয়ার হোসাইন (মিনার) এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবদুল মুহিত হাসানী (মোমবাতি)। সাবেক হুইপ আব্দুস শহিদ এ আসনে অপ্রতিদ্বন্দ্বি।
মন্তব্য করুন