গানে গানে পাবনার ভোটের মাঠ মাতাচ্ছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে ঘুরছেন নির্বাচনী এলাকার আনাচে কানাচে। নিজের কণ্ঠে নতুন গানে জমজমাট প্রচারণা চলছে হাটে-মাঠে-ঘাটে এমনকি অনলাইনেও।
স্থানীয়রা জানান, দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী সারাদেশে চমক সৃষ্টি করে গানের মঞ্চ থেকে সরাসরি নেমেছেন ভোটের লড়াইয়ে। বিএনএম এর নোঙর প্রতীকে ভোটের প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকায় ব্যস্ত সময় কাটছে তার। তবে, জনপ্রিয় এই শিল্পীর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি তৃপ্ত হচ্ছেন না ভোটাররা, ভোটারদের মন জয়ে ডলিকে মেটাতে হচ্ছে ভক্তদের গান শোনার আবদারও। নাচে গানে জমজমাট প্রচারণায় পাবনা-২ এলাকায় এখন উৎসবের আমেজ।
ভোটের প্রচারণায় এখন অন্যতম অনুষঙ্গ নির্বাচনী গান। আর ডলি সায়ন্তনীর মতো গানের মঞ্চ মাতানো শিল্পীর প্রচারণায় কী গান থাকে, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল তার ভক্তদের। তাদের নিরাশও করেননি ডলি। ভোটের মাঠে প্রার্থীর প্রচারণায় বাজছে নিজের কণ্ঠেই গাওয়া গান। ভোটে দাঁড়ানোর কারণ, নির্বাচনে নিজের পরিকল্পনা, প্রতিশ্রুতি সবই জানিয়েছেন নতুন এই গানে।
ডলি সায়ন্তনী বলেন, মানুষ আমাকে চেনেই গানের মাধ্যমে। আমি মানুষের আবেগ, ভালোবাসা, আনন্দ, বেদনার কথা গানে গানে সারা জীবন বলেছি। রাজনৈতিক বক্তব্যের চেয়ে মানুষের জন্য আমার চিন্তা, পরিকল্পনা, কেন ভোটে এলাম সবই আমি গানে গানে বলতে চেষ্টা করেছি। গানটির কথা সাজিয়েছেন রিজভী মোহাম্মদ, সুর সংগীতায়োজন করেছেন তরুণ সংগীত পরিচালক তানভীর ইসলাম। এর মাঝেই গানটি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি আমার জনপ্রিয় গানগুলোও ভোটারদের অনুরোধে শোনাতে হচ্ছে। খালি গলায় গানে অভ্যস্থ না হলেও ভক্তদের অনুরোধে অল্প করে গাইছি। তবে, তাদের ভালোবাসা আমি বুঝতে পারছি। আমি সত্যিই এলাকার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা।
এদিকে, গানে গানে ভোট প্রার্থনা উপভোগ করছেন ভোটাররাও। ভোটের ফল যাই হোক রাজনীতির মঞ্চে নবাগত ডলির ব্যতিক্রমী প্রচারণা নজর কাড়ছে সবার। শুভকামনা জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীও।
আ.লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, ভোটের লড়াইয়ে আমি তাকে শুরু থেকেই স্বাগত জানাচ্ছি। একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সবরকম সহযোগিতা তাকে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছি। তবে, তিনি আসায় এলাকায় ভোটের মাঠে উৎসবের রঙ লেগেছে।
পাবনার সুজনগর উপজেলা ও আমিনপুর থানা নিয়ে গঠিত পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি আহমেদ ফিরোজ কবীর। ঋণ জটিলতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হকের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বিএনএম প্রার্থী ডলির সঙ্গেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন