তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফসলি জমির পাশেই ইটভাটা, হুমকিতে পরিবেশ

ফসলি জমির পাশে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ছবি : কালবেলা
ফসলি জমির পাশে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ছবি : কালবেলা

বরগুনার তালতলী উপজেলায় একটি ইটভাটার কারণে বর্ষার সময় ও শুকনো মৌসুমে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ওই এলার স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের। ইটভাটার কারণে দীর্ঘদিন রাস্তা পাকা না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফসলি জমির পাশেই ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ও জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়ছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আমতলী উপজেলার মো. হোসেন নামে একজন ভাটা মালিক তালতলীর কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব ঝাড়াখালী গ্রামে হোসেন ব্রিকস আমতলী (এইচবিএ) নামে একটি ইটভাটা স্থাপন করেন ফসলি জমির পাশেই। এই ভাটাটি তৈরির শুরুতেই এলাকার পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয়রা বাধা প্রদান করেন। সেই বাধা উপেক্ষা করে ওই অবৈধ ইটভাটাটির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামের মধ্যে ফসলি জমির পাশেই বিশাল এরিয়া জুরে ইটভাটাটিতে পুরোদমে ইট প্রস্তুতের কাজ চলছে। নিয়ম না থাকলেও পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে কাঠ। ইটভাটার এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে দেখা গেছে শিশুদেরও।

স্থানীয়রা বলেন, ইটভাটার বিষাক্ত দোয়ার কারণে কোনো গাছে ফল হয় না, রাস্তার অবস্থাও খুব খারাপ। বৃষ্টির দিনে ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। আর শুকনো মৌসুমে এই রাস্তাও সংস্কার হয় না। কারণ ইটভাটার গাড়িতে রাস্তা নষ্ট করে ফেলে। ইট ভাটার কথা শুনলে রাস্তা দিতে চায় না ইঞ্জিনিয়াররা। এই ইটভাটার কারণে এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ইটভাটার মালিক মো. হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রাস্তার জন্য আমি লাখ লাখ ইট দিয়েছি। বৃষ্টির সময় রাস্তায় কাদা হতো। ইটভাটা হওয়ার পরে এখন আর কাদা হয় না। একটি পক্ষ আছে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। তাছাড়া ইটভাটা চালানোর জন্য যা লাইসেন্স প্রয়োজন সব আমার আছে।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা বলেন, তালতলীতে দুইটা ইটভাটা আছে তাদের লাইসেন্স রয়েছে বলে শুনেছি। ভাটার মালিকের সঙ্গে আমরা বসেছি। তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করবেন বলে জানিয়েছেন আমাদের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ নিয়ে ৯৫.৬৬ ভাগ ইতিবাচক মন্তব্য 

মায়ামির সঙ্গেই চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছেন মেসি!

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চীনা শ্রমিকের মৃত্যু 

শৈশবের ক্লাবকে বিদায় করে ক্ষমা চাইলেন চেলসি স্ট্রাইকার

কেন্দ্রীয় নয়, নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডে প্রকাশ হবে এসএসসির ফল

বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কুমিল্লা বোর্ড, এইচএসসি নিয়ে সিদ্ধান্ত সন্ধ্যায়

চীন সফরে যাচ্ছে জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল

উদ্বোধনের আগেই ভেসে গেল নবনির্মিত সড়ক

মধ্যপ্রাচ্যে আরও ঘাঁটি বানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, বাড়াচ্ছে অস্ত্রের মজুত

ব্যবসায়ীকে হত্যায় জড়িত ৭ ভাই-ভাতিজা গ্রেপ্তার

১০

সিরিজ হারের পরও আশাবাদী মিরাজ

১১

১৫ কিমি দূরে ভেসে উঠল আসিফের মরদেহ

১২

আ.লীগকে ফেলে দেওয়ার জন্য যা দরকার ছিল, সব করেছি : সিবগাতুল্লাহ

১৩

এখন আর শেখ হাসিনার পালানোর পথ নেই : প্রেস সচিব 

১৪

ইইউর অভিযানে চীনের বিরুদ্ধে জার্মানির ভয়ংকর অভিযোগ

১৫

ভয়াবহ বন্যায় প্রস্তুত ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

১৬

অডিও যাচাই করল বিবিসি / আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন হাসিনা

১৭

ঠান্ডা পানি কি শরীরের জন্য ক্ষতিকর? কী বলছেন চিকিৎসকরা

১৮

ফেনীতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি

১৯

বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এলো যাত্রাবাড়ীতে পুলিশি হত্যাকাণ্ডের চিত্র

২০
X