সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন খুলনার সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থীরা। খুলনার সংসদীয় আসনগুলোর সংসদ সদস্য প্রার্থীদের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের সময় প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে সংসদে এ নিয়ে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দেন।
সম্প্রীতি ফোরাম ও দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্যোগে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ৮ দফা দাবি অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রার্থীদের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণ করেন খুলনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৩ আসনের এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালাম মুর্শেদী, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু, গাউসুল আজম, আবদুল্লাহ আল মামুন ও ফরহাদ আহমেদ।
স্মারকলিপিতে প্রার্থীদের ইশতেহারে আটটি প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা, বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। এ ছাড়া আসন্ন জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকারে আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পড়া রোধে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষাঋণ চালু করা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলিতদের জন্য এবং সিটি কর্পোরেশনের ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটা বরাদ্দ রাখা, ঝাড়ুদার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০ ভাগ হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা ও আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, সম্প্রীতি ফোরামের সভাপতি সিলভি হারুন, নাগরিক নেতা মিনা মিজানুর রহমান, সাংবাদিক আবুল হাসান হিমালয়, মানবাধিকার কর্মী আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শামীম, ইসরাত নূয়েরী হোসেন মুমু, অরুণ দাশ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন