বরিশাল নগরীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়সহ উজিরপুর উপজেলার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এক আওয়ামী লীগ নেতার মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো ঘটনাকেই পুলিশ আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বরিশাল নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক টুটুল চৌধুরী জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নৈশপ্রহরী নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন জ্বলতে দেখেন। আগুনে নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে পেট্রোলের একটি বোতল পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আরিছুল হক বলেন, ‘আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। এইমাত্র শুনলাম।’
ওদিকে, উজিরপুর উপজেলার ধামসর বাজার কমিটির সভাপতি ও শ্রমিক লীগ নেতা জাকির হোসেন জানান, ধামসর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় চারজন ছিলেন। স্কুলের বারান্দায় মোটরসাইকেল রেখে তিনি নাস্তা করতে যান। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল ও স্কুলের দরজায় আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে।
একই উপজেলার বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সরদার জানান, হস্তিশুন্ড এইচএম ইনস্টিটিউশনে রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কেরোসিন দিয়ে আগুন দিয়েছে। তবে আগুন অল্পতেই নিভে গেছে। এতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সালাম সরদার আরও জানান, এ ইউনিয়নের সানুহার স্কুলেও আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানের নিরাপত্তাকর্মীরা টের পাওয়ায় আগুন দিতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
তিনি জানান, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা কর্মীরা ভোরে বের হওয়ার পর কয়েকজন দুর্বৃত্তকে দেখতে পায়। তাদের ধাওয়া দিলে ডিজেলভর্তি বোতল ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি জাফর আহমেদের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভুয়া, ভুয়া! এসব কিছুই ঘটেনি।’
এদিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আগুনে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষের বেঞ্চ ও চেয়ার এবং ফ্যান পুড়ে গেছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান এ ব্যাপারে বলেন, ‘সবই গুজব। সব গুজব। এর কোনো সত্যতা নেই।’
মন্তব্য করুন