আশুলিয়ায় এক সেলুনের কর্মীকে জুতাপেটা ও দোকান ভাঙচুর করে টাকা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ সিরিয়াল ভেঙে দাড়ি কাটাতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এই ঘটনায় বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে শহিদ ওরফে ডনকে প্রধান আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী সেলুন কর্মী বাবুল চন্দ্র শীল।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম শহিদ উদ্দিন ওরফে ডন (৫২)। তিনি সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আশুলিয়ার টেঙ্গুরী কোনাপাড়া এলাকার মৃত জিয়র আলী মন্ডলের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেঙ্গুরী এলাকায় এতিম মার্কেটের ‘বাদল হেয়ার কাটিংয়ে’ এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- একই এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফ (৩৫) ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে হিমেল (৩২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সেলুন কর্মী বাবুল চন্দ্র শীল তার সেলুনে অন্য একজনের চুল কাটছিলেন। তখন সেই ব্যক্তির চুল কাটা শেষ না করেই অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শহিদ তার দাড়ি কাটতে বলেন। এ সময় বাবুল ১০ মিনিট দেরি হবে বলায় তার ওপর চড়াও হন শহিদ। একপর্যায়ে বাবুলকে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন তিনি। এ সময় বাবাকে মারতে দেখে তাকে বাঁচাতে পাশের চায়ের দোকান থেকে বাবুলের ছেলে বাদল চন্দ্র শীল (১৯) ছুটে এলে তাকেও মারধর করে শহিদ ও তার লোকজন। পরে বাদলের চা দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও ক্যাশবাক্স থেকে ৩৬ হাজার টাকা লুট করে নেয় হামলাকারীরা।
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বাবুল বলেন, শহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে শুনেছি। তবে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা ভুক্তভোগীকে মারধরসহ ভাঙচুরের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার শেষে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর।
মন্তব্য করুন