পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাটগ্রামে শীতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। ছবি : কালবেলা
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। ছবি : কালবেলা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দুপুর গড়িয়ে বিকেলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা। শীতে জবুথবু প্রাণপ্রকৃতি। শীতের এমন প্রকোপে পাটগ্রাম উপজেলায় আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে নিউমোনিয়ায় ও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিউমোনিয়ায়, হাঁপানি জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে প্রতিদিনই পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন আক্রান্তরা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু ও বয়স্করা।

শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী ধারণক্ষমতারও ৫-৬ গুণ বেশি। এর মধ্যে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। এবং তাদের অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক রোগী। বহিঃবিভাগে প্রতিদিন ৩০০-৩৫০ জন চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যেও শীত ও ভাইরাসজনিত রোগী বেশি।

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশু চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে।

বুড়িমারী উফারমারা গ্রাম থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা নাম বলতে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুদিন হলো। চিকিৎসা নিতে এসে সব ধরনের ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি কিছু ওষুধের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে আমাদের উপকার হতো। তবে ডাক্তার নিয়মিত দেখাশোনা করছেন। চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। আমার মতো অনেকে ঠান্ডাজনিত রোগে এখানে আছেন। এখানকার চিকিৎসার মান মোটামুটি ভালো বলেও জানান তিনি।

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জহির উদ্দীন মো. বাবর বলেন, গত বাড়ের তুলনায় এবার শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ফুসফুস সংক্রমণ ও হাঁপানি এ রোগীগুলোকে আমরা প্রচুর পরিমাণে পাচ্ছি। এখন প্রতিদিন আমরা আউটডোরে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী আসে। এর মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ এবং বাকিগুলো অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আসে। আমাদের ইমার্জেন্সিতে বয়স্ক যারা আসে তারা সাধারণত শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসতেছে। শিশুরা ঠান্ডাজনিত নিমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে আসতেছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা প্রধান করছি। শীতে ঠাণ্ডা ও ভাইরাসজনিত রোগ থেকে শিশুর সুরক্ষায় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, গত কয়েক দিন থেকে জেলায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘন কুয়াশা হওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে ফলে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ শিশু এবং বয়স্কদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওয়াইফাইয়ের গতি কম? বাড়াবেন যে ১০ উপায়ে

জেনেভা ক্যাম্পের হত্যা মামলায় ২৬ আসামিকে গ্রেপ্তার  

রিয়ালের চুক্তির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ভিনি

মাউশির চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সচিবালয়ের সামনে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের অবস্থান

শিক্ষার্থীদের রাতের আড্ডা বন্ধে চৌদ্দগ্রাম ইউএনওর অভিযান

কাজে আসছে না কোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স

আইপিএলের পর দ্বিতীয় সেরা হতে চায় যে টি-টোয়েন্টি লিগ

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে সেমিস্টার ডে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন : আইন উপদেষ্টা

১০

নাটোরে ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে চলছে ট্রেন

১১

ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শিক্ষকের রাজকীয় বিদায়

১২

বেড়েছে পদ্মার পানি, ডুবেছে ৩১ গ্রাম

১৩

ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, নজর রাখছে জার্মান সংস্থা

১৪

নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

১৫

ঝগড়া থামাতে গিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

১৬

মোহাম্মদপুরের কুখ্যাত ছিনতাই চক্রের প্রধান ভাগনে বিল্লাল গ্রেপ্তার

১৭

কোন কোন শর্ত মেনে ছেলেদের চীনাবাদাম খাওয়া উচিত

১৮

যাবজ্জীবন দণ্ড ভোগ করে মুক্তির পর দোকান পেলেন দুলাল

১৯

রাজস্থান থেকে মিস ইউনিভার্স বিশ্বমঞ্চে মনিকা বিশ্বকর্মা

২০
X