ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতে বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁও

আগুন জ্বেলে চলছে হাত-পা গরমের চেষ্টা।  ছবি : কালবেলা
আগুন জ্বেলে চলছে হাত-পা গরমের চেষ্টা। ছবি : কালবেলা

ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে শীত। সূর্যের দেখা মেলেনি দুই দিন। উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস বইছে। কুয়াশা না থাকলেও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। আয় রোজগার কমে যাওয়ায় নিদারুন কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে দিনমজুর পরিবার। প্রাণিকুলও বৈরী আবহাওয়ায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে।

প্রচণ্ড ঠান্ডায় পারদ নামতে শুরু করার পরে হঠাৎ করে জনজীবনেও শীতের চেনা ছবি ফিরে এসেছে। শীতের পোশাক পরে ঠকঠক করে কাঁপছে মানুষ। সন্ধ্যার পরে শহরের অলিগলিতে আগুন জ্বেলে চলছে হাত-পা গরমের চেষ্টা। রাত একটু গড়াতেই রাস্তা ঘাট সুনসান।

জেলা শহরের হাজিপাড়া আতাউর রহমান ও নজরুল ইসলাম বলেন, সকালে লেপ ছেড়ে বের হওয়াই দায় হয়ে পড়ছে। মোটরবাইক, সাইকেল চালালে হাত ঠান্ডায় হিম হয়ে যাচ্ছে। রাতে আগুন জ্বেলে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলর দোলন মজুমদার বলেন, তাপমাত্রা এভাবে এক ধাক্কায় এতটা নেমে যাওয়ায় শৈত্য প্রবাহ চলছে গোটা জেলাজুড়ে।

কনকনে ঠান্ডায় যেখানে আগুন জ্বালানো হচ্ছে, সেখানেই জড়ো হচ্ছেন মানুষজন। চায়ের দোকানে থিকথিকে ভিড়। ঠান্ডার দাপটে সকাল ন’টার আগে ঘর থেকে অনেকেই বেরোতে চাইছেন না।

সবজি ব্যবসায়ী জমসেদ আলী বলেন, আমরা সকালে ক্ষেত থেকে সবজি নিয়ে বাজারে যাই। কিন্তু এত ঠান্ডা যে সকালে গাছে হাত দিতেই পারছি না।

ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা নিরূপণের কোনো কার্যালয় নেই। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতিদিন তাপমাত্রা পরিমাপ করে। দপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, গত চারদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। বুধবার সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।

অটোচালক জাহেদুল ইসলাম বলেন, শীতের জন্য রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। আর রাস্তায় মানুষের চলাফেরাও কমে গেছে। এ কারণে রোজগার একেবারেই কমে গেছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতার কারণে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষের জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। ঠান্ডাজনিত রোগে কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শীত বস্ত্রের জন্য অসহায় ও সামান্য আয়ের মানুষ জনপ্রতিনিধি বাসা-বাড়ি তে ছুটাছুটি করছে । তবে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন শীত বস্ত্রের কোন সংকট নেই ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিসিক বার্ষিক সম্মেলন ও কর্মশালার প্রথম দিন সফলভাবে অনুষ্ঠিত

সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে চা বিক্রি করছেন মোদি, এআই ভিডিও ভাইরাল

দল থেকে সুখবর পেলেন বিএনপির ২৪ নেতা

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে, কখন জেনে নিন

সুখবর পেলেন ছাত্রদল নেতা জিসান

আটকে পড়া ২ শিশুকে উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস

প্রশাসনের ভয়ে রাতে পুকুর খনন করেও পার পেলেন না ঠিকাদার

এসিল্যান্ডের গাড়িচাপায় শিশু নিহত

নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ফজলুর রহমান

১০

সচেতনতায় সানি লিওন

১১

প্রাণী হত্যা, যা বলছে ইসলাম

১২

দেশ ও বিশ্বকে বদলে দেওয়ার স্বপ্ন ময়মনসিংহের তরুণদের

১৩

ব্র্যাক ব্যাংকে আগুন

১৪

বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রাণ, জাতির গণতন্ত্র সংগ্রামের প্রতীক : মান্নান

১৫

খালেদা জিয়ার জানের সদকা হিসেবে ১৬টি ছাগল দান

১৬

কখন আসবেন তারেক রহমান

১৭

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল চূড়ান্ত, কারা থাকছেন

১৮

আমার বাবার হত্যাকারীদের শেখ হাসিনা রক্ষা করেছেন : ড. রেজা কিবরিয়া

১৯

২৮ ডিসেম্বর থেকে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

২০
X