মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতে বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁও

আগুন জ্বেলে চলছে হাত-পা গরমের চেষ্টা।  ছবি : কালবেলা
আগুন জ্বেলে চলছে হাত-পা গরমের চেষ্টা। ছবি : কালবেলা

ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে শীত। সূর্যের দেখা মেলেনি দুই দিন। উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস বইছে। কুয়াশা না থাকলেও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। আয় রোজগার কমে যাওয়ায় নিদারুন কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে দিনমজুর পরিবার। প্রাণিকুলও বৈরী আবহাওয়ায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে।

প্রচণ্ড ঠান্ডায় পারদ নামতে শুরু করার পরে হঠাৎ করে জনজীবনেও শীতের চেনা ছবি ফিরে এসেছে। শীতের পোশাক পরে ঠকঠক করে কাঁপছে মানুষ। সন্ধ্যার পরে শহরের অলিগলিতে আগুন জ্বেলে চলছে হাত-পা গরমের চেষ্টা। রাত একটু গড়াতেই রাস্তা ঘাট সুনসান।

জেলা শহরের হাজিপাড়া আতাউর রহমান ও নজরুল ইসলাম বলেন, সকালে লেপ ছেড়ে বের হওয়াই দায় হয়ে পড়ছে। মোটরবাইক, সাইকেল চালালে হাত ঠান্ডায় হিম হয়ে যাচ্ছে। রাতে আগুন জ্বেলে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলর দোলন মজুমদার বলেন, তাপমাত্রা এভাবে এক ধাক্কায় এতটা নেমে যাওয়ায় শৈত্য প্রবাহ চলছে গোটা জেলাজুড়ে।

কনকনে ঠান্ডায় যেখানে আগুন জ্বালানো হচ্ছে, সেখানেই জড়ো হচ্ছেন মানুষজন। চায়ের দোকানে থিকথিকে ভিড়। ঠান্ডার দাপটে সকাল ন’টার আগে ঘর থেকে অনেকেই বেরোতে চাইছেন না।

সবজি ব্যবসায়ী জমসেদ আলী বলেন, আমরা সকালে ক্ষেত থেকে সবজি নিয়ে বাজারে যাই। কিন্তু এত ঠান্ডা যে সকালে গাছে হাত দিতেই পারছি না।

ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা নিরূপণের কোনো কার্যালয় নেই। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতিদিন তাপমাত্রা পরিমাপ করে। দপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, গত চারদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। বুধবার সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।

অটোচালক জাহেদুল ইসলাম বলেন, শীতের জন্য রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। আর রাস্তায় মানুষের চলাফেরাও কমে গেছে। এ কারণে রোজগার একেবারেই কমে গেছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতার কারণে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষের জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। ঠান্ডাজনিত রোগে কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শীত বস্ত্রের জন্য অসহায় ও সামান্য আয়ের মানুষ জনপ্রতিনিধি বাসা-বাড়ি তে ছুটাছুটি করছে । তবে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন শীত বস্ত্রের কোন সংকট নেই ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাইসির হেলিকপ্টারের যে সমস্যার কথা জানালেন তুর্কি পরিবহনমন্ত্রী

সমর্থকের বাড়িতে নৈশভোজ, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অর্থদণ্ড

ভোটের আগের রাতে গোপন প্রচারণা, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রাইভেটকার আটক

বিলাসবহুল গাড়িতে সরকারি লোগো সাঁটিয়ে ৭ লাখ ইয়াবা পাচার

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

বাবার খোঁজে ভারতে যাচ্ছেন এমপি আনারের মেয়ে

ফোর্বসের তালিকায় স্থান পাওয়া ৯ তরুণকে ছাত্রলীগের শুভেচ্ছা

মোবাইল কিনে না দেওয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাজার বসিয়ে অবৈধ বিদ্যুতের ব্যবসা

র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু, ক্যাম্প কমান্ডারসহ প্রত্যাহার ৪

১০

চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮২ শতাংশ : বিবিএস

১১

ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর

১২

জাল স্বাক্ষরে ওষুধ বিতরণের অভিযোগ

১৩

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আরবদের মুনাফেকি ও সুপার হিরোদের অবদান

১৪

নোয়াখালীতে ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

১৫

নিপুনের পেছনে বড় কোনো শক্তি আছে : ডিপজল

১৬

ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে চবিতে সাইক্লিস্টের র‍্যালি

১৭

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আইআইইউসি প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৮

আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ

১৯

রাইসির মরদেহ কোথায়, জানাজার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত?

২০
X