দেশের চা বাগান-অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলায় শ্রীমঙ্গলে গত কয়েকদিন ধরে চলছে শীতের দাপট। তাপমাত্রার পারদ যত কমছে, ততই শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলা। এতে বেড়েছে ঠান্ডাজাতীয় রোগের প্রকোপ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিম বাতাস থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল এবং রাতে কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যায় জেলার চারপাশ। এ সময় বেশ শীত অনুভূত হয়।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, তীব্র শীতে শীতকালীন ডায়রিয়া, ঠান্ডা কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই শ্রীমঙ্গলে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। পাহাড় আর হাওর বেষ্টিত শ্রীমঙ্গলে কনকনে শীতে কাবু চা বাগান ও হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
গেল কয়েকদিন থেকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে কম। চলমান কনকনে এ ঠান্ডায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাইও। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের তেজ বাড়লে কিছুটা স্বস্তি মেলে। তবে রাতের বেলা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের। যতই দিন যাচ্ছে জেলার তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষ।
কুয়াশা, প্রচণ্ড ঠান্ডা ও হিম বাতাসে গরম কাপড়ের অভাবে হাওর পাড়ের মৎস্যজীবী, চা শ্রমিক, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মো. আনিসুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে জেলায় শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন