মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কৃষকের কাছে হার মানল মাঘের শীত

মাঘের শীতকে হার মানিয়ে ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক। ছবি : কালবেলা
মাঘের শীতকে হার মানিয়ে ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক। ছবি : কালবেলা

পৌষের শেষ দিক থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপট। মাঘের শুরু থেকেও ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীত পড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সকালে দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যা পরপরই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের স্থবিরতা নেই। মাঘের হাড় কাঁপানো শীত যে তাদের শরীরে লাগছে না। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত কৃষকেরা কাদা মাঠে নেমে ধান রোপণ করে চলেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১৮৫০ হেক্টর জমি, যা থেকে ৯৪১৩১ টন ধান উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছেন কৃষি অফিস। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১৭৫০ হেক্টর জমি। ধান উৎপাদন হয়েছিল ৯৫৭৭৯ টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা কৃষি অফিসের।

হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাকডাকা ভোরে কাদা মাঠে নেমেছেন গ্রামবাংলার কৃষকরা। শীত সবসময় তাদের কাছেই যেন হার মানে। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির ডুমুরতলা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরবেলায় প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দলবেঁধে মাঠে বোরো ধানের চারা লাগাচ্ছেন।

কৃষক লুৎফর মোল্লা বলেন, শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমরা এ সময়ে বসে থাকলে আমাদের পরিবার ও দেশের মানুষদের পেটে ভাত জুটবে কীভাবে। অন্য এক কৃষক রমজান আলী বলেন, আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কী?

বেলা সাড়ে ১২টায় মহেশপুর হুদোড় মোড় এলাকায় মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মনির ও কাদের নামের দুই কৃষক। তারা বলেন, পৌষের শেষ দিক থেকে শীত ও কুয়াশা পড়া শুরু হয়ে গেছে বিকেল থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। রাতেও টিনের চালে টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝড়ে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হলে কদিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ ধান ক্ষেত। আর তারপরেই সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক।

মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, বোরো আবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুষম সার ব্যবহার,প্যাচিং পদ্ধতি ও লাইন করে ধান লাগালে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

আফগানমন্ত্রীর ভারত সফর ঘিরে কৌতূহল

বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধান সমস্যা সন্ত্রাস ও দুর্নীতি : রহমাতুল্লাহ

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস

প্রকৃতির অলংকার অনিন্দ্যসুন্দর সাতডোরা 

৫ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

পুলিশের ওপর হামলা করে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন স্বজনরা

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল : ট্রাম্প

রূপায়ণ গ্রুপে চাকরির সুযোগ, পাবেন একাধিক সুবিধা

১০

প্রেমিকার উপস্থিতিতে প্রেমিকের কাণ্ড

১১

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১২

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১৩

ঢাকায় কখন হতে পারে বজ্রবৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৫

৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি, ক্লু পাচ্ছে না পুলিশ

১৭

পাতানো জালে আটকা নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

১৮

ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় না : মুশফিকুর রহমান

১৯

সিলেটে যানজট মোকাবিলায় এনসিপির ২৭ প্রস্তাবনা

২০
X