আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাসপাতালে স্যালাইন সংকট, বিপাকে ডায়রিয়া রোগীরা 

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : সংগৃহীত
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : সংগৃহীত

শীত মৌসুমের শুরুর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। এদিকে ডায়রিয়ার রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে সংকট দেখা দিয়েছে কলেরা স্যালাইনের।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা, যতগুলো রোগীর শরীরে স্যালাইন চলছে তার সবগুলোই বিভিন্ন কোম্পানির, ফার্মেসি থেকে রোগীর স্বজনদের কিনে আনা। সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে না কোনো স্যালাইন। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধও বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে গত ১০ দিনে ১৯৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এখনো ৩৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে যার বেশিরভাগই শিশু। এ ছাড়া বহির্বিভাগে গত ১০ দিনে আরও অন্তত ১০০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনের কিছু সংকট রয়েছে। তবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের দুই বছর বয়সী ছেলে সাগরকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন তার বাবা মানিক। গত ৪ দিন আগে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয় সাগরের। ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ ওষুধই হাসপাতালের ডাক্তারদের দেওয়া স্লিপের মাধ্যমে বাইরের ফার্মেসি থেকে টাকা দিয়ে কিনে আনতে হচ্ছে। স্যালাইনও হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে না। তার অভিযোগ, ফার্মেসি থেকে বেশি দামে কলেরা স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

একই অভিযোগ পাশের বেডে থাকা একই ইউনিয়নের কর্মমট এলাকার ১৪ মাস বয়সী ইব্রাহিমের স্বজনদের। তারা বলছে, গত তিনদিনে তিনটি স্যালাইন কিনে আনতে হয়েছে। ফার্মেসিতেও সংকটের অজুহাতে স্যালাইনের দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

সদর উপজেলার চান্দী গ্রামের বাসিন্দা হৃদয় মিয়া বলেন, আমার আড়াই বছরের বাচ্চা হঠাৎ করে গতকাল বিকেলে বমি করে। পরে সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়েছে। কিছু ওষুধ হাসপাতাল থেকে পাওয়া গেছে। তবে স্যালাইনের স্বল্পতা থাকায় বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।

এ ব্যপারে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হিমেল খান বলেন, শীতের আগমনে ডায়রিয়ার প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। আক্রান্তের বেশির ভাগই শিশু। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন ভর্তি হচ্ছে। আমাদের এখানে কলেরা স্যালাইনের সংকট পুরোপুরি শুরু হয়নি। তবে যে হারে রোগী আসছে তাতে স্যালাইন সংকট হতে পারে। ইতোমধ্যে আমরা স্যালাইনের চাহিদা দিয়েছি। আশা করি দ্রুত পেয়ে যাব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাস্থ্য পরামর্শ / রান্নায় সরিষার তেলে ঝুঁকি ও অসংক্রামক রোগ

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ৫৮% মার্কিনি : রয়েটার্স

স্পেনের বাইরে লা লিগার ম্যাচ খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাল ফুটবলাররা

দুবাইয়ে যাওয়ার ৪ মাস পরই ৩ কোটির লটারি জিতলেন প্রবাসী

এনজো ফার্নান্দেজের মুখে রিয়াল মাদ্রিদের নাম, বাড়ছে গুঞ্জন

কেশবপুরে নারী সমাবেশ/ / ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি

সাভারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাসের শুভ উদ্বোধন

তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীও হবেন : এ্যানি

দলবদলের বাজারে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর রেকর্ড ভাঙা খরচ

১০

ধর্মগড় সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক চার বাংলাদেশি

১১

হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে মোদিকে ওয়েইসির প্রশ্ন

১২

জাকসুতে প্যানেল দ্বন্দ্ব, পদত্যাগ করে বাগছাস নেতার মিষ্টি বিতরণ

১৩

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই : বেবিচক চেয়ারম্যান

১৪

‘আ. লীগ বিদ্যুৎ খাতে চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল’

১৫

আ.লীগ নেত্রী রুনু গ্রেপ্তার

১৬

ইসির ইউটিউব চ্যানেল চালু, মিলবে যেসব তথ্য

১৭

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থী

১৮

চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

১৯

ভোলায় পাঁচ দিন ২০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

২০
X