কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মালাপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ৩০ বছরের পুরনো এম.এ চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম বদলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে। বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় মহলে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন বিদ্যালয়টির নাম ছিল এম.এ চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়। তবে সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনর রশীদ প্রতিষ্ঠাকালীন নাম বদলে ওই বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ করেছেন। স্থানীয় একটি মহলের অভিযোগ প্রতিষ্ঠাকালীন বিদ্যালয়ের নামে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার বাবার নামের আগে সংক্ষিপ্ত আকারে কয়েকটি গ্রামের নাম উল্লেখ করা ছিল, যা বর্তমানে দেওয়া নতুন নাম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে ৩০ বছর পর বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে স্থানীয় মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ তোলেন স্থানীয় একটি মহল। বিষয়টি নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি মানববন্ধনও করেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শ্রম, অর্থ ও জমি দিয়ে বিদ্যালয়টিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনর রশীদ। যদিও বিদ্যালয়ের কাজে আশপাশের গ্রামের লোকজনও সহযোগিতা করেছেন, তবে সিংহভাগ ব্যয় করেছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার হারুনর রশীদ। হারুনর রশীদ তার জমি ও ভিটেমাটি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটিকে তিল তিল করে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। একটি মহল তাকে বদনাম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনর রশীদ কালবেলাকে বলেন, সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে সংক্ষিপ্ত আকারের কোনো কিছু রাখা যাবে না এ রকম একটি আদেশ আসে। তাই আমি সংক্ষিপ্ত অংশ বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ের নাম সংশোধন করেছি, নাম পরিবর্তন করিনি। তাদের করা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারণ বিদ্যালয়ের পুরাতন নামে কয়েকটি গ্রামের নাম উল্লেখ ছিল বলে যা তারা প্রচার করছে তা ঠিক নয়। বিদ্যালয়ের পুরাতন নামই রয়েছে, শুধু বিদ্যালয়ের নাম থেকে সংক্ষিপ্ত অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া সংক্ষিপ্ত অংশ ‘এম এ’ এর মানে কোনো গ্রামের নাম নয় বরং এর বিস্তারিত হলো ‘মিডেল এরিয়া’। কারণ, চার গ্রামের মাঝখানে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় তখন ‘এম এ’ মানে মিডেল এরিয়া বোঝানো হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল আমাকে বদনাম করার জন্য ও বিদ্যালয়ের ক্ষতি সাধনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ভুল বোঝাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল করিম কালবেলাকে বলেন, বিদ্যালয়ের নাম পরির্বতন এটি ওই এলাকার স্থানীয় বিষয়৷ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা এলাকাবাসী যদি আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ চায় তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
মন্তব্য করুন