ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৩০ বছর পর বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে তোপের মুখে প্রতিষ্ঠাতা

নাম পরিবর্তনের পর নতুন নামে ‘রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়’ এর সাইনবোর্ড দেখা যায় বিদ্যালয়ে। ছবি : কালবেলা
নাম পরিবর্তনের পর নতুন নামে ‘রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়’ এর সাইনবোর্ড দেখা যায় বিদ্যালয়ে। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মালাপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ৩০ বছরের পুরনো এম.এ চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম বদলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে। বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় মহলে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তুলেছে।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন বিদ্যালয়টির নাম ছিল এম.এ চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়। তবে সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনর রশীদ প্রতিষ্ঠাকালীন নাম বদলে ওই বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ করেছেন। স্থানীয় একটি মহলের অভিযোগ প্রতিষ্ঠাকালীন বিদ্যালয়ের নামে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার বাবার নামের আগে সংক্ষিপ্ত আকারে কয়েকটি গ্রামের নাম উল্লেখ করা ছিল, যা বর্তমানে দেওয়া নতুন নাম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে ৩০ বছর পর বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে স্থানীয় মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ তোলেন স্থানীয় একটি মহল। বিষয়টি নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি মানববন্ধনও করেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শ্রম, অর্থ ও জমি দিয়ে বিদ্যালয়টিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনর রশীদ। যদিও বিদ্যালয়ের কাজে আশপাশের গ্রামের লোকজনও সহযোগিতা করেছেন, তবে সিংহভাগ ব্যয় করেছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার হারুনর রশীদ। হারুনর রশীদ তার জমি ও ভিটেমাটি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটিকে তিল তিল করে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। একটি মহল তাকে বদনাম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনর রশীদ কালবেলাকে বলেন, সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে সংক্ষিপ্ত আকারের কোনো কিছু রাখা যাবে না এ রকম একটি আদেশ আসে। তাই আমি সংক্ষিপ্ত অংশ বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ের নাম সংশোধন করেছি, নাম পরিবর্তন করিনি। তাদের করা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারণ বিদ্যালয়ের পুরাতন নামে কয়েকটি গ্রামের নাম উল্লেখ ছিল বলে যা তারা প্রচার করছে তা ঠিক নয়। বিদ্যালয়ের পুরাতন নামই রয়েছে, শুধু বিদ্যালয়ের নাম থেকে সংক্ষিপ্ত অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া সংক্ষিপ্ত অংশ ‘এম এ’ এর মানে কোনো গ্রামের নাম নয় বরং এর বিস্তারিত হলো ‘মিডেল এরিয়া’। কারণ, চার গ্রামের মাঝখানে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় তখন ‘এম এ’ মানে মিডেল এরিয়া বোঝানো হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল আমাকে বদনাম করার জন্য ও বিদ্যালয়ের ক্ষতি সাধনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ভুল বোঝাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল করিম কালবেলাকে বলেন, বিদ্যালয়ের নাম পরির্বতন এটি ওই এলাকার স্থানীয় বিষয়৷ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা এলাকাবাসী যদি আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ চায় তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোবাইলে হংকং চায়নার বিপক্ষে হামজাদের খেলা দেখবেন যেভাবে

ছাত্রীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা দাবি গৃহশিক্ষকের, অতঃপর...

মেয়েদের যে ৪ গুণ দেখে বিয়ে করতে বলেছেন নবীজি (সা.)

জর্ডানের হাতে মার্কিন অস্ত্র, কী হতে যাচ্ছে সেখানে?

তাওকীরের নতুন সিনেমা ‘দেলুপি’

ইয়াবা বিক্রিতে বাধা, বাবার সামনে ছেলে খুন

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ের পরও গাজায় হামলা, কারণ কী?

জবির সমাজকর্ম বিভাগে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন

দীর্ঘ ৪ বছর পর শুরু হচ্ছে ফেডারেশন কাপ

শান্তিচুক্তির পর টেলিফোনে নেতানিয়াহুকে যা বললেন ট্রাম্প

১০

গুরুতর অসুস্থ স্পর্শিয়া, চাইলেন দোয়া

১১

টাইফয়েড টিকা নিয়ে গুজব থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান

১২

১৪০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের

১৩

সর্বকালের সেরা পাঁচ অলরাউন্ডার বেছে নিলেন সিকান্দার রাজা

১৪

খুলনায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

১৫

বন্দরের অরক্ষিত হাউসে প্রাণ গেল শিশুর

১৬

এআই দিয়ে অশ্লীল ছবি বানানোর অভিযোগে কলেজছাত্র বহিষ্কার

১৭

সিরাজগঞ্জে ভটভটির ধাক্কায় শিশুসহ দুজন নিহত

১৮

মাঝরাতে প্রেমিককে ডেকে এনে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটালেন গৃহবধূ

১৯

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাংকিংয়ে যবিপ্রবির চমক

২০
X