বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৩০ বছর পর বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে তোপের মুখে প্রতিষ্ঠাতা

নাম পরিবর্তনের পর নতুন নামে ‘রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়’ এর সাইনবোর্ড দেখা যায় বিদ্যালয়ে। ছবি : কালবেলা
নাম পরিবর্তনের পর নতুন নামে ‘রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়’ এর সাইনবোর্ড দেখা যায় বিদ্যালয়ে। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মালাপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ৩০ বছরের পুরনো এম.এ চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম বদলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে। বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় মহলে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তুলেছে।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন বিদ্যালয়টির নাম ছিল এম.এ চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়। তবে সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনর রশীদ প্রতিষ্ঠাকালীন নাম বদলে ওই বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ করেছেন। স্থানীয় একটি মহলের অভিযোগ প্রতিষ্ঠাকালীন বিদ্যালয়ের নামে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার বাবার নামের আগে সংক্ষিপ্ত আকারে কয়েকটি গ্রামের নাম উল্লেখ করা ছিল, যা বর্তমানে দেওয়া নতুন নাম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে ৩০ বছর পর বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে স্থানীয় মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ তোলেন স্থানীয় একটি মহল। বিষয়টি নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি মানববন্ধনও করেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শ্রম, অর্থ ও জমি দিয়ে বিদ্যালয়টিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনর রশীদ। যদিও বিদ্যালয়ের কাজে আশপাশের গ্রামের লোকজনও সহযোগিতা করেছেন, তবে সিংহভাগ ব্যয় করেছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার হারুনর রশীদ। হারুনর রশীদ তার জমি ও ভিটেমাটি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটিকে তিল তিল করে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। একটি মহল তাকে বদনাম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুনর রশীদ কালবেলাকে বলেন, সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে সংক্ষিপ্ত আকারের কোনো কিছু রাখা যাবে না এ রকম একটি আদেশ আসে। তাই আমি সংক্ষিপ্ত অংশ বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ের নাম সংশোধন করেছি, নাম পরিবর্তন করিনি। তাদের করা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারণ বিদ্যালয়ের পুরাতন নামে কয়েকটি গ্রামের নাম উল্লেখ ছিল বলে যা তারা প্রচার করছে তা ঠিক নয়। বিদ্যালয়ের পুরাতন নামই রয়েছে, শুধু বিদ্যালয়ের নাম থেকে সংক্ষিপ্ত অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া সংক্ষিপ্ত অংশ ‘এম এ’ এর মানে কোনো গ্রামের নাম নয় বরং এর বিস্তারিত হলো ‘মিডেল এরিয়া’। কারণ, চার গ্রামের মাঝখানে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় তখন ‘এম এ’ মানে মিডেল এরিয়া বোঝানো হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল আমাকে বদনাম করার জন্য ও বিদ্যালয়ের ক্ষতি সাধনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ভুল বোঝাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল করিম কালবেলাকে বলেন, বিদ্যালয়ের নাম পরির্বতন এটি ওই এলাকার স্থানীয় বিষয়৷ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা এলাকাবাসী যদি আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ চায় তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

১০

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

১১

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১২

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৩

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

১৪

এবার জুবিনের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল বিধানসভা

১৫

‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরেক নেত্রী

১৬

বাজার থেকে টিসিবির ২৪৮ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার আটক

১৭

দারিদ্র্যসীমা নিয়ে বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল বিশ্বব্যাংক

১৮

সাড়ে ৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন, পুড়ল শতাধিক ঘর

১৯

ভুলেও এআই চ্যাটবটকে এই ১০ তথ্য দেবেন না

২০
X