গরুর খামার দিয়ে ভাগ্যবদল হয়েছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংঙ্গারচর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নিজ্ব ছেংঙ্গারচর গ্রামের ওয়াসিম মিয়াজীর। তিনি ওই এলাকার জহিরুল হক মীয়াজীর ছোট ছেলে। বর্তমানে তার গোয়ালে ২৫টির মতো বড় জাতের গরু রয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ওই বাড়িতে গেলে ওয়াসিম মীয়াজীর গোয়ালঘরে ৪টি বাছুরসহ গরুগুলো দেখা যায়।
গোয়ালে ওয়াসিম নিজেই তার গাভি ও বাছুরের যত্ন নিচ্ছেন। ঝকঝকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খামার এলাকা। গোয়ালঘরটিতে ইটের গাঁথুনির প্রাচীর। বাতাস আসার জন্য রয়েছে জানালা। ওপরে টিন, মেঝে পাকা। আছে কয়েকটি বৈদ্যুতিক ফ্যান। ঘরের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নির্দিষ্ট পাত্র থেকে খাবার খাচ্ছে গরুগুলো।
ওয়াসিম বলেন, লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পিছনে ছুটে অনেক কষ্ট করেছি। বেকারত্বের বোঝা নিয়ে তখনই মাথায় গরুর খামার করার ভাবনা আসে। ২০২২ সালে ২টি গাভি কিনে বাড়িতে লালন পালন শুরু করি। পরে গরুর সংখ্যা বাড়ে। এখন দুধ বিক্রি করে প্রতিদিন আয় হচ্ছে। বাছুরগুলোর বয়স ৭ মাস হলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করি। শুরুর সময় প্রথম গাভিটি বাছুরসহ কিনেছিলাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে। এখন আমার খামারের মূলধন প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এই খামারে এখন শাহিওয়াল, ক্রসসহ দেশি জাতের ২৫টি গরু ও ৪টি বাছুর রয়েছে। আমি সরকারি সহায়তা পেলে আমার এই খামারকে আরও বড় করতে চাই।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংঙ্গারচর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান মোল্লা বলেন, ওয়াসিম কঠোর পরিশ্রমী ও সফল খামারি হিসেবে বেশ সফলতা পেয়েছে। আমি আশা করি তাকে দেখে এলাকার যুবসমাজ খামার করার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে। আমি তার সফলতা দেখে মুগ্ধ। ওর যেকোন প্রয়োজনে পাশে থাকবে।
মন্তব্য করুন